বাকলিয়াবাসীর আস্থার প্রতীক সামশুল আলম

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া একটি ঐতিহ্যবাহী, শান্তিপ্রিয় ও ধর্মপ্রাণ মানুষের এলাকা। এই অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সততা, ন্যায়বিচার ও জনকল্যাণে নিবেদিত একজন নেতৃত্বের প্রত্যাশা করে আসছে। এই প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে যখন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. শামসুল আলম নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন।

আলহাজ্ব সামশুল আলম একজন ধর্মভীরু, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবামূলক ব্যক্তিত্ব হিসেবে এলাকায় ব্যাপকভাবে পরিচিত। তিনি সর্বদা জনগণের পাশে থেকেছেন, দুঃখে, কষ্টে, বিপদে কিংবা প্রয়োজনে। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণির উন্নয়নে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, একটি সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে সততা, ন্যায়নীতি ও সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। তাঁর রাজনৈতিক আদর্শের মূল ভিত্তি হলো, জনগণের সেবা, স্বচ্ছ প্রশাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। তাঁর চিন্তা ও দর্শনে প্রতিফলিত হয় ইসলামি মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও মানবতার সেবা করার আন্তরিকতা।

সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে তিনি যে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন, তা হলো, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে কাজ করা। শিক্ষা ও ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারে সহায়তা করা। বেকারত্ব দূরীকরণে ক্ষুদ্র উদ্যোগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।
অবকাঠামো উন্নয়ন রাস্তাঘাট, ব্রিজ, ড্রেনেজ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিত করা। সামাজিক নিরাপত্তা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। তিনি মনে করেন, একটি সুশাসিত সমাজ গড়ে তুলতে হলে প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে জবাবদিহিতা থাকতে হবে এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, নির্বাচিত হলে জনগণের মতামত ও পরামর্শ নিয়ে প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্যে বলেন, “আমি রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়। আমি জনগণের দোয়া ও সমর্থন কামনা করছি। যদি আল্লাহ তায়ালা চান এবং জনগণ আমাকে সুযোগ দেন, আমি আমার জীবনকে মানুষের সেবায় উৎসর্গ করব।” এমন বিনয়ী ও জনগণনিষ্ঠ বক্তব্য তাঁর জনপ্রিয়তাকে আরও দৃঢ় করেছে। স্থানীয় মসজিদ, মাদরাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ জনগণের মাঝে ইতোমধ্যেই তাঁর প্রতি ব্যাপক সমর্থন দেখা যাচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বে বাকলিয়া ইনশাআল্লাহ উন্নয়ন, শান্তি ও ন্যায়বিচারের মডেল হিসেবে গড়ে উঠবে, এমনটাই আশা করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
তিনি একজন আপসদদস্তক জনপ্রেমিক মানুষ। চট্টগ্রাম মহানগরে স্থানীয় মানুষের অপেক্ষাকৃত বেশি বসতি বাকলিয়ায়। চট্টগ্রামে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ বাকলিয়া। চট্টগ্রাম নগরের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনের ভাগ্য নির্ধারণ হয় বাকলিয়ার ভোটে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির বহুমুখী বিভাজন ও এলাকাভিত্তিক গ্রুপিংয়ের কারণে এখানকার মানুষের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে। ফলে আগামী নির্বাচনে এ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে আসছে বিভাজন ও গ্রুপিংয়ের ঊর্ধ্বে থাকা বিএনপি নেতা শামসুল আলমের নাম। তিনি বাকলিয়ার সন্তান।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুল আলম ২০০৮ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে স্বল্প ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম বিএসসির কাছে হেরে যান। ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে শামসুল আলম ও তাঁর পরিবারকে চড়া মূল্য দিতে হয়। শামসুল আলম ও তাঁর সন্তানকে বারবার জেলে যেতে হয়। এমনকি পারিবারিক ব্যবসা মেসার্স ইলিয়াস ব্রাদার্স (এমইবি) নিয়েও বিগত সরকারের নানা হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড দানবীর এ পরিবারটিকে বড় প্রতিকূলতায় ফেলে দেয়। শামসুল আলম দীর্ঘদিন বাকলিয়া থানা বিএনপির সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেন।

বাকলিয়া এলাকায় গত এক বছরেরও কম সময়ে বিএনপি ও সম আদর্শের একাধিক পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে চারজন খুন হন। এসব খুনাখুনির মূলে রয়েছে চাঁদাবাজির জন্য এলাকায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা।

বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একটি সূত্র বলছে, ডা. শাহাদাত হোসেন আপাতত মেয়র পদেই থাকুক এমনটি চান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আবু সুফিয়ান ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে বিতর্কিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের গাড়ি সরানোর ঘটনায় জড়িয়ে বিতর্কিত হন এবং দক্ষিণ জেলার আহ্বায়কের পদ হারান। বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দা আবদুল মোনাফের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল এমপি প্রার্থী কাকে চান? তাঁর সোজাসাপটা উত্তরÑ ইলিয়াস ব্রাদার্সের আমাদের শামসুল আলম ভাই। এ পরিবার এমনিতেই বাকলিয়াসহ পুরো কোতোয়ালি আসন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। কেউ অসুস্থ হলে এখনও ছুটে যান শামসুল আলমের ঘরে, মেয়ে বিয়ে দিতে না পারলেও শামসুল আলম, যে কোনো ধরনের বিপদে আমাদের মাথার ওপর ছাতা হয়ে আছেন। তাঁর মতো ব্যক্তি সংসদে গেলে আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে। পাল্টে যাবে বাকলিয়ার চেহারা।

রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও দানবীর শামসুল আলমই একমাত্র স্থানীয় প্রার্থী, বাকলিয়ার মানুষ। পারিবারিকভাবে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। ওনার মতো যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিলে দল জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারবে।

বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যে শামসুল আলম একজন পরিচ্ছন্ন ইমেজের প্রার্থী। দলের নিবেদিত নেতা হিসেবে তাঁকে প্রার্থী করলে বিএনপির লাভ হবে। চট্টগ্রাম-৯ আসনে যেসব প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে শামসুল আলম সবচেয়ে বেশি যোগ্য। ওনি কেবল একজন বিএনপি নেতা নন; পারিবারিকভাবে ওনাদের দেশব্যাপী পরিচিতি রয়েছে। ২০০৮ সালেও ওনি এই আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন। সর্বজনপ্রিয় বিএনপি নেতা শামসুল আলম নির্বাচিত হলে আরও বেশি সেবা পাবেন এলাকার মানুষ।

শামসুল আলম বলেন, বিএনপির রাজনীতি করা এবং ধানের শীষে নির্বাচন করাটা যেন আমার অপরাধ ছিল। এ কারণে বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বলতে গেলে ধ্বংসই করে দিয়েছে। আমার পরিবারকে অমানবিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। পদে পদে বাধার কারণে বলতে গেলে আমাদের ব্যবসা প্রায় বন্ধ। এরপরও আমি দল ছেড়ে যাইনি। এবার দলের মূল্যায়নের অপেক্ষায় থাকলাম। দল যদি আমাকে মূল্যায়ন করে ইনশা আল্লাহ এ আসন উপহার দিতে পারব। সাধারণ মানুষের কল্যাণ করাই আমাদের লক্ষ্য।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানতারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষা শুধু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা মানুষের জীবন ও দেশের চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে হওয়া উচিত।

জনাব তারেক রহমানের উপস্থাপিত ৩১ দফার কর্মসূচিতে চাহিদা ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দক্ষ, যোগ্য ও সৃজনশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
শেষে তিনি এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, “আমি আপনাদের ভাই, আপনাদের সন্তান। আপনারা আমার জন্য দোয়া করুন। আমি যেন একটি কল্যাণমুখী সমাজ গঠনে সফল হতে পারি। আপনারা আমাকে সহযোগিতা ও দোয়া দিয়ে শক্তি যোগান।” এই দোয়া প্রার্থনার মধ্য দিয়ে তাঁর বিনয়, সততা, ও আল্লাহভীতির পরিচয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

 

মন্তব্য করুন