পটিয়া প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়েছে।
জেলা বিএনপি’র আয়োজনে শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এনামুল হক এনামের নেতৃত্বে র্যালীটি দামপাড়া ওয়াসার মোড় থেকে শুরু হয়ে কাজীর দেউরী লাভলেইন মোড় গিয়ে শেষ হয়।
র্যালীর পূর্ব মূহুর্তে সমাবেশে জেলা বিএনপির দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের দল। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের সকল ভালো অর্জনের সাথে শহীদ জিয়া বিএনপি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেশে যখনই কোন দুর্ভোগ নেমে এসেছে তখনই শহীদ জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্বেই মোকাবেলা হয়েছে। শহীদ জিয়া ও বিএনপি এক ও অভিন্ন। যতদিন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র বিশ্বের বুকে ঠিকে থাকবে, ততদিন শহীদ জিয়ার নাম ও বিএনপি ঠিকে থাকবে। কোন দেশপ্রেমিক শহীদ জিয়ার কৃতিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেনা। যারা মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায় তারা ইতিহাসের আস্থাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের গনতন্ত্রমনা মানুষ আওয়ামীলীগের দুঃশাসন থেকে মুক্তি চাই। বিএনপি বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক সংগঠন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান এর নেতৃত্বে একদফা আন্দোলনের মাধ্যমে অচিরেই জনগনের ভোটাধিকার উদ্ধার হবে। অবৈধ সরকার যতই চালবাজি আর গলাবাজি করুক, তাতে কোন লাভ হবে না। অতি শিগগিরই গনতন্ত্র মুক্তি পাবে ইনশাআল্লাহ।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম বলেন, সরকারের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই। সরকার যদি শান্তি চায়, দেশের মানুষের কল্যাণ চায়, গণতন্ত্রের প্রতি যদি শ্রদ্ধাবোধ থাকে এবং আইনের প্রতি যদি শ্রদ্ধাশীল হয়, তাহলে অবিলম্বে এই দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত। তা না হলে দেশের আপামর জনতা অবৈধ সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করবে। এই অবৈধ জালিম সরকারের পদত্যাগ ব্যাতীত দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের মুক্তি নাই। নির্যাতন করে, মামলা হামলা করে সরকার মুক্তিকামী জনতাকে দমিয়ে রাখা যাবেনা।
বর্ণাঢ্য র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য যথাক্রমে এড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন, নুরুল আনোয়ার, এডভোকেট ফোরকান, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, এম মনজুর উদ্দিন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, এস এম মামুন মিয়া, লায়ন নাজমুল মোস্তফা, মজিবুর রহমান, আবু মোঃ নিপার, এড. নুরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, মোস্তাফিজুর রহমান, এড. ফৌজুল আমিন, খোরশেদ আলম, মফজল আহমদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম সওদাগর, জামাল হোসেন, ভিপি মোজাম্মেল, মেজবাহ উদ্দিন জাহেদ, হুমায়ুন কবির আনসার, আমিনুর রহমান চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ রফিক, নবাব মিয়া, ইসহাক চৌধুরী, হামিদুল হক মান্নান, অধ্যাপক এহসান মৌলা, নুরুল কবির, মঈনুল আলম ছোটন, শফিকুল ইসলাম, সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, এড. কাশেম চৌধুরী, জসীম উদ্দীন, এস এম সলিম উদ্দীন চৌধুরী, বিএনপি নেতা ইব্রাহিম খলিল, রেজাউল করিম নেছার, জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজগর, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনজুর আলম চৌধুরী, সদস্য সচিব জমির উদ্দীন মানিক, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ লোকমান, মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, মাহমুদুর রহমান মাদু, শহীদুল্লাহ চৌধুরী, রাসেল ইকবাল, রেজাউল হক চৌধুরী, গাজী আবু তাহের, হাজী মোহাম্মদ ওসমান, আ, ক, ম, মোজাম্মেল হক, ইউসুফ চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহসিন, বিএনপি নেতা হাসান চেয়ারম্যান, আবুল কালাম আবু, ইলিয়াস কাঞ্চন, আবু সেলিম চৌধুরী, মাহবুবুল আলম, ইখতেকার হোসেন, তৌহিদুল আলম, আবদুল মাবুদ, আবুল হোসেন, শফিকুল ইসলাম রাহী, কামাল উদ্দীন, টপটেন কামাল উদ্দীন, কৃষক দলের আহ্বায়ক মহসিন চৌধুরী রানা, সদস্য সচিব আবদুর রশীদ দৌলতী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মীর জাকির, মহিলা দলের নেত্রী ফাতেমা আক্তার মুন্নি, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবি, সদস্য সচিব কামরুদ্দিন সবুজ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ফিরোজ, জাসাসের আহ্বায়ক জসীম উদ্দীন চৌধুরী, সদস্য সচিব নাছির উদ্দীন, মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদিকা ফাতেমা আক্তার মুন্নি জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবি, সদস্য সচিব কামরুদ্দিন সবুজ, ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ মৌলানা ফোরকান, সদস্য সচিব মাও. হাফেজ মুহাম্মদ জাবের হোসাইন চৌধুরী প্রমূখ।