নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন সম্মিলিত পরিষদ (১৮টি গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনের জোট) এর উদ্যোগে পোশাক শিল্প সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরী ২৩ হাজার টাকা অবিলম্বে ঘোষণার দাবীতে আজ ১৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে এক গার্মেন্টস শ্রমিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার দে এর সঞ্চালনায় ও পরিষদের সভাপতি শেখ আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে চট্টগ্রামের বিভিন্ন গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের বিপুল সংখ্যক শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এর মোঃ ফয়েজ আহম্মদ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এর মো: সাগর, বাংলাদেশ শ্রমিক সংহতি ফেডারেশন ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি ফেডারেশন এর রুপন দাশ, আলোকিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এর শ্যাম দুলাল দেব বর্মন, বাংলাদেশী গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন এর মো: মোরশেদ আলম, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী পরিষদ এর মোঃ সোহেল হক, বাংলাদেশ বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এর মো: আলমগীর, গ্রাম বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এর মোঃ সোহাগ হোসেন, বাংলাদেশ রেডিমেড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এর মো: কামরুল হোসেন ঈমন, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এর রিন্ট বড়ুয়া, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি ফেডারেশন এর মো: সালাউদ্দিন পারভেজ, ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কাস এর কে এম শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন (বিএলএফ) এর নুরুল আবছার তৌহিদ এবং বাংলাদেশ এ্যাপারেলস ওয়াকার্স ফেডারেশন (বিএডাব্লিউএফ) এর দুলাল হোসেন রনি প্রমুখ।
শ্রমিক সমাবেশে নেতৃবৃন্দরা বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে রপ্তানী প্রবৃদ্ধি, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে রপ্তানীকারকদের আয় বৃদ্ধির কোন সুফল শ্রমিকরা পায়নি অথচ ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের জ্বালানিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বর্ধিত মূল্যের বোঝার চাপে শ্রমিকরা পিষ্ট হচ্ছে। প্রকৃত মজুরী অনেকাংশে কমে যাওয়ায় জাতীয় মাথাপিছু আয়ের পরিমান বৃদ্ধির বিপরীতে শ্রমিকরা কঠিন জীবন যাপন করছে। শুধু খাদ্য পন্য, চিকিৎসা, শিক্ষার খরচ, বাড়িভাড়া ও গাড়ীভাড়া বিপুল পরিমানে বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকদের টিকে থাকা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
সমাবেশে উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, বর্তমানে বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এর মূল্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণেই পোশাক শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরী বা অন্তবর্তীকালীন বর্ধিত অবিলম্বে ঘোষনা করতে হবে। আর নূন্যতম মজুরি দারিদ্র্যসীমার ওপর থাকতে হবে এবং সে হিসাবে নূন্যতম মজুরি কোনোভাবেই ২৩ হাজার টাকার নিচে নির্ধারণ করা যাবে না।
পোশাক শ্রমিকরা অন্য খাতের শ্রমিকদের চেয়ে কিছুটা সংগঠিত, তারপরও তাঁদের পরিস্থিতির উন্নয়ন হয় না। পোশাক শ্রমিকদের জন্য বিজিএমইএ থেকে সরাসরি রেশন কার্ডের মাধ্যমে রেশন এর ব্যবস্থা করতে হবে। সমাবেশ থেকে শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরী ২৩ হাজার টাকা মজুরী ও ৬৫% বেসিক অবিলম্বে ঘোষণার দাবী, শ্রমিকদের জন্য রেশন ও আপদকালীন মহার্ঘভাতা চালু করার জোর দাবী জানানো হয়। অন্যাযায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে শ্রমিকরা যৌথ স্বাক্ষর দিয়ে আবেদন করতে বাধ্য হবে।