নিউজগার্ডেন ডেস্ক: পশ্চিম শাকপুরা হাজী আজগর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক দুইজনই সাজাপ্রাপ্ত আসামী হয়ে স্কুলের দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষা বোর্ডের কোন নজরদারী নেই। হাজী আজগর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদিত হয় ১৯/১০/২০২২ সালে। কিন্তু বিদ্যালয়ের সভাপতি আলহাজ্ব জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত দায়রা মামলা নম্বর-৫৪২৮/ ২০১৮, সি আর মামলা নম্বর ৩৩০/২০১৮। উক্ত মামলায় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ২য় আদালত ২৮/১১/২০২২ সালে রায় প্রচার করেন। উক্ত রায়ে বিজ্ঞ বিচারক আলহাজ্ব জাকির হোসেনকে এক বছর সশ্রম কারাদন্ড সম পরিমাণ ৫০ লাখ ৪০ হাজার অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। রায় ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব জাকির হোসেন পলাতক রয়েছেন। সুকৌশলে তথ্য গোপন করে প্রধান শিক্ষক সাজাপ্রাপ্ত সভাপতির মাধ্যমে দাপ্তরিক কাজে সই নিয়ে নেন।
কিন্তু অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামী, মামলা নং ১৮৮৭/১৭। উক্ত মামলায় প্রধান শিক্ষক ১ মাস ৪ দিন জেল হাজতে ছিলেন। বর্তমানে মামলাটি ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। অত্যন্ত দু:খজনক প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি দুইজনই মামলার আসামী। এই বিষয়ে অভিভাবকবৃন্দ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করে কোন সুরাহা পায়নি।
উল্লেখ্য, হাজী আজগর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১২ সাল হতে ২০২১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ বছর কোন অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হয়নি। প্রধান শিক্ষকের মনগড়া মানুষ দিয়ে বার বার এডহক কমিটি দিয়ে স্কুল পরিচালনা করছেন। যা প্রধান শিক্ষকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অভিভাবকবৃন্দের প্রত্যক্ষ ভোটে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। সভাপতি পলাতক থাকায় অভিভাবক প্রতিনিধি উক্ত সভার সভাপতি মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে রাষ্ট্রদ্রোহি মামলার আসামী মোহাম্মদ আলীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। বহিস্কার আদেশ পাওয়ার পর প্রধান শিক্ষক বেপরোয়া হয়ে অভিভাবক প্রতিনিধিগণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দফতরে বানোয়াট ও মিথ্যা অভিযোগ করে আসছেন।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন অভিভাবক ও প্রতিনিধিবৃন্দ।