নিউজগার্ডেন ডেস্ক: তৃণমূল এনডিএম চেয়ারম্যান তৃণমূলবন্ধু খোকন চৌধুরী বলেছেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হতে হবে। এখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বা অন্য কিছুর স্থান নেই। আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হয়েছে। এখন এ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হলে কেউ মামলা করলে সাথে সাথে তা বাতিল হয়ে যাবে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি যতই রূপরেখা দিক না কেন, সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ১৪ বছরে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণকালের উন্নয়ন করেছেন। এই সময়ে প্রচুর উন্নয়নমূলক হয়েছে। বারবারই প্রমাণিত হয়েছে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে, শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। এজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিএনপি কোনো দিন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো দেখেননি। কিন্তু তাদের এই ভালো না দেখার মধ্যেও আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে ২ হাজার ৮০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যর হার ৪১ থেকে ১৮ শতাংশে নেমেছে। দেশ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ে উন্নীত হয়েছে, এখন জিডিপিতে বিশ্বের ৩৫তম ও পিপিপিতে ৩১তম; শিগগিরই ২৭তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হবে। বিএনপি এগুলো কোনো দিন দেখেনি।
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর’ ২০২৩ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব’র মওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে তৃণমুল এনডিএমের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম শুভ জন্মদিন পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শরীক দল তৃণমূল এনডিএমের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ঘাতকরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে এদেশ থেকে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে চিরতরে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ বিশ্বের কাছে একটি রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রচারণার কারণে রোহিঙ্গাদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, সেটা সম্পর্কে বিশ্ব জানতে পেরেছে। এমনিতে বলা হচ্ছিল, রোহিঙ্গারা বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক। আমাদের বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রচারণার কারণে সবাই জেনেছে, তারা নির্যাতিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব জানে রোহিঙ্গা কী জিনিস, এরা কারা এবং এরা অবশ্যই মিয়ানমার সিটিজেন। এটা বাংলাদেশের একটি বড় কৃতিত্ব। আমার আশা, একদিন না একদিন তারা ফেরত যাবে। নির্যাতনের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এটা আমাদের বড় অর্জন। এরা যে নির্যাতিত হয়েছে, সেই চিত্রটাও সারা বিশ্ব এখন জানে। এটাতে কোনো ঘাটতি নাই। এ জন্যই আমরা আশাবাদী।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসে পুরো পৃথিবীই যখন গৃহবন্দি। ফলে দিনমজুররা পড়েছেন বিপাকে। ফুরিয়ে গেছে অনেকের ঘরের খাবার। এমন দুর্দিনে সেই সব দুস্থ মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে সরকার। সরকারের সাথে আমরাও সহায়তা কার্যক্রম চালিয়েছি। মানুষ মানুষের জন্য” এই ব্রতকে ধারণ করে তৃণমূল এনডিএম করোনাকালে সঙ্কটময় মুহূর্তে দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। করোনা ভাইরাসে যেন স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্টে না থাকে সে চিন্তা ও চেতনা থেকে মানবিক সহায়তা করেছি।
তৃণমূল এনডিএম’র স্থায়ী সদস্য নুরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন তৃণমূল এনডিএম’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল হান্নান, তৃণমূল এনডিএম’র কেন্দ্রীয় নেতা অমিত সন্তোষ গুপ্ত, তৃণমূল এনডিএম’র কেন্দ্রীয় নেতা ডা: মো: হাতেম আলী, মাওলানা মো. ইনামুল কবির, যুগ্ম মহাসচিব মোকলেসিন আকতার, মে: শাহ জালাল, মো: খোরশেদ আলম, শহিদুল ইসলাম, সুলতানা রুপা, আসমা বেগম, আনোয়ারা বেগম মনি, শিরিনা বেগম, তাসলিমা বেগম, সাবিনা ইয়াসমিন, ইয়াসমিন আকতার, নাছিমা আকতার, মো: জসীম উদ্দীন, আবদুস সাত্তার টিপু, দেলোয়ার হোসেন, এড: মিঠুন দে প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।