নিউজ ডেস্ক

চারদিকে ভোট ডাকাত সরকারের পতনের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে: মাহবুবের রহমান শামীম

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কারণে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। বেগম খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা সংসদে পাস করেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই বিধানকে এক তরফাভাবে বাদ দিয়েছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল, এমনকি আওয়ামী লীগও ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে পক্ষে ছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সংবিধান সংশোধন করে সেটাকে বাদ দিয়েছে শুধু আওয়ামী লীগের দলীয় সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন করার জন্য। যে নির্বাচনে আগের রাতে ভোটকেন্দ্র দখল করা হয়। কিন্তু আগামী নির্বাচনে সেটা আর সম্ভব হবে না। সরকারের দিন শেষ হয়ে এসেছে। চারদিকে এই ভোট ডাকাত সরকারের পতনের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। সরকারের জন্য দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে। শেখ হাসিনার হুংকার আর কাজে আসবে না। এবারে আর যেনতেন নির্বাচন করতে পারবে না।

তিনি রবিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে মাদারবাড়ী শুভপুর বাস ষ্টেশন এলাকায় আগামী ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিএনপির রোড মার্চ কর্মসূচী সফল করার লক্ষে সদরঘাট থানা বিএনপির লিফলেট বিতরণ পরবর্তী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কদমতলী মোড়, পোড়া মসজিদের সামনে, শুভপুর বাস ষ্টেশন ও ট্রাঙ্ক রোড় এলাকায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।

এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের প্রতিটি সেক্টরে লুটপাট কায়েম করেছে। দেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার আজ আওয়ামী দুঃশাসনের কাছে জিম্মি। তারা মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দূর্নীতি করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে ফেলেছে। এই দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে ও মানুষের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

সদরঘাট থানা বিএনপির সভাপতি হাজী মো. সালাউদ্দীনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাউসার হোসেন বাবু’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, সাবেক অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মশিউল আলম স্বপন, তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক মো. আলী। উপস্থিত ছিলেন থানা বিএনপির সি. সহ সভাপতি খোরশেদ আলম, সহ সভাপতি ওমর ফারুক রুবেল, আজিজুল হক বাদল, ইব্রাহীম মান্নান মিনু, যুগ্ম সম্পাদক লোকমান হোসেন বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, ২৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, মহানগর কৃষক দলের ১নং সদস্য মো. আজম খান, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনাস জিহান, ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ, রবিউল হোসেন, বিএনপি নেতা মো. শাহজাহান, তছলিম উদ্দীন, যুবদল নেতা আলমগীর সিরাজ, আনোয়ার হোসেন, কমল জ্যোতি বড়ুয়া, নুর জাহেদ বাবলু, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আইয়ুব আলী, শ্রমিকদলের সভাপতি মো. বাহার, সাধারণ সম্পাদক সেলিম সম্রাট, থানা যুবদলের আহ্বায়ক মো. ইসমাইল, সি. যুগ্ম আহ্বায়ক নুর খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইয়াসির আরাফাত, সদস্য সচিব আনোয়ারুল আবেদীন মুন্না, ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইউনুস মিয়া জুয়েল, সি. যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ আলী, কৃষকদলের আহ্বায়ক রাশেদ খান সুমন, সদস্য সচিব সিজ্জাদ হোসেন সাব্বির, স্বেচ্ছাসেবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ আলম রাজু, জিয়া উদ্দীন, যুবদল নেতা তৈয়ব আলী, আব্দুল মান্নান, ফারক ভূইয়া, ইকবাল ফরিদ, মারুফ মির্জা, মো. রাজিব, নাঈম উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা ফয়সাল, নাজিম, সোহেল রানা, আরমান, শ্রমিকদল নেতা রশীদ, রুবেল, সিরাজ, বাদল প্রমুখ।

মন্তব্য করুন