
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ ও রোড মার্চ হবে। বর্তমান এই ফ্যাসিবাদী ও ভোটচোর সরকারের বিরুদ্ধে রোড মার্চের মাধ্যমে প্রমাণ হবে, ভোট চোর সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোন অধিকার নাই। এই রোড মার্চ হবে সরকার পতনের। দাবী এক, দফা এক, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ। দেশকে রক্ষার আন্দোলনে যুবদলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। অবৈধ সরকারের সব অপতৎপরতা রুখে দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলন গড়ে উঠেছে। তত্ত্বাবধায়ক ও দল নিরপেক্ষ ছাড়া এই দেশের মাটিতে আর কোন নির্বাচন হতে দেব না। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে দেশের মানুষ নিশ্চুপ বসে থাকবে না। এ দেশের মানুষ যে দাবিতে মাঠে নেমেছে সেটির ব্যত্যয় ঘটলে সরকারের পালানোর সুযোগ থাকবে না। খালেদা জিয়াকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। এর ফয়সালা রাজপথেই হবে। সরকার ক্ষমতা থেকে নামলে চরম মূল্য দিতে হবে ভেবে তারা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছেন না। তাছাড়া যখন আমেরিকা ভিসানীতি প্রয়োগ করা শুরু করেছে, তখনই বর্তমান সরকার উল্টাপাল্টা কথা বলছেন।
তিনি আজ ১ অক্টোবর (রবিবার) ৩টায় নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন মাঠে অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবি আদায়ে আগামী ৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার), ২০২৩ কুমিল্লা-ফেনী-মিরসরাই হয়ে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোড মার্চ সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার ক্ষমতায় এসে নানা অপকর্ম করছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে। ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি শাসনের অবসান হলেও তাদের দোসরদের কারণে আজ মানবাধিকার লুণ্ঠিত হচ্ছে। অবিলম্বে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন দিন।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদের সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে যুব সমাজের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন আওয়ামীলীগের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি কিন্তু আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু না হলে দেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক মহল মেনে নেবে না। দেশের মানুষ দাবানলের মত ফুঁসে উঠছে। বেগম খালেদা জিয়া বন্দি রেখে এইদেশে কোন নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে যুব সমাজের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন আওয়ামীলীগের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি কিন্তু আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু না হলে দেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক মহল মেনে নেবে না। দেশের মানুষ দাবানলের মত ফুঁসে উঠেছে। অবিলম্বে দেশের জনগনের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পদত্যাগ করুন।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, আগামী ৫ অক্টোবরের রোড মার্চ সফল করতে যুবদল নেতাকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে রোড মার্চ সফল করার চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল নেতাকর্মীরা সদা প্রস্তুত।
সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকার দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে এক তরফা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা এই দেশের যুব সমাজ কখনো মেনে নেবে না। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হলে সকলকে ঐকবদ্ধভাবে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
বক্তব্য রাখেন, নগর যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন, সহ সভাপতি নূর আহমদ গুড্ডু, এস এম শাহ আলম রব, শাহেদ আকবর, এম এ রাজ্জাক, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, ফজলুল হক সুমন, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল করিম, আবদুল গফুর বাবুল, মোঃ মুছা, মিয়া মোহাম্মদ হারুন, হায়দার আলী চৌধুরী, নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, জসিমুল ইসলাম কিশোর, মুজিবুর রহমান, মোঃ আবু সুফিয়ান, অরূপ বড়ুয়া, মোহাম্মদ আলী সাকি, সি. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবীর, মো. সেলিম উদ্দিন, মোঃ এরশাদ হোসেন, মো. তাজুল ইসলাম তাজু, আবদুর হামিদ পিন্টু, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, জিয়াউল হুদা জিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন, রাজন খাঁন, ওমর ফারুক, সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, শাহজালাল পলাশ, মুজিবুর রহমান রাসেল, আহাদ আলী সায়েম, জাফর আহমদ খোকন, রাসেল নিজাম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নূর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মুহাম্মদ সাগীর, মো. জসিম উদ্দিন সাগর, গাজী ফারুক, মহিউদ্দিন মুকুল, এস এম বখতেয়ার উদ্দিন, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, মো. নুরুল আমিন, মো. নওশাদ, আসাদুজ্জামান রুবেল, সহ সম্পাদক বৃন্দ মনোয়ার হোসেন মানিক, কমল জ্যোতি বড়ুয়া, মোহাম্মদ হাসান, মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম, হামিদুল হক চৌধুরী, আরিফ হোসেন, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, মো. আবুল কালাম, মো. সালাহ উদ্দিন, আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, মো. জসিম উদ্দিন, হাফেজ কামাল উদ্দিন, মো. সিরাজুল ইসলাম সিকদার, ফারুক হোসেন স্বপন, মো. ইদ্রিছ, মোঃ ইদ্রিস আলম, গুলজার হোসেন মিন্টু, আবদুল্লাহ আল মামুন জিতু, মোঃ নেজাম উদ্দীন, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, হোসেন উজ জামান, মো. ইব্রাহিম খান, মিজানুর রহমান দুলাল, মিফতাহ উদ্দিন সিকদার টিটু, নগর যুবদলের সদস্য শাবাব ইয়াজদানী, মাহাবুব খান জনি, মো. কলিম উল্লাহ, সাইদুল হক সিকদার, আবদুল্লাহ আল মামুন, আবদুল করিম, শাখাওয়াত কবীর সুমন,
থানা যুবদলের আহবায়ক বজল আহমদ ইসমাঈল হোসেন লেদু, হোসনে মোবারক রিয়াদ, মো. খোরশেদ, সদস্য সচিব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, মো. হাসান, শওকত খান রাজু, মোর্শেদ কামাল, তাজ উদ্দিন তাজু, এ জে এম সোহেল, সারোয়ার হোসেন, থানা যুবদলের সি: যুগ্ম আহবায়ক আবদুল জলিল, মো. ইয়াছিন, নুর খাঁন, সাইফুল আলম রুবেল, ইউনুছ মুন্না, ইকবাল হোসেন মিলন, শাহেদ হোসেন খান পারভেজ, ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক এস এম আলী, মো. আকতার, মোঃ এস্কান্দার, মো. সাইফুল আলম, বাদশা আলমগীর, জহিরুল ইসলাম জহির, মোহাম্মদ হাসান, মো. সাদেক, আবু বক্কর বাবু, সোলায়মান হোসেন মনা, সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।