প্রতারণার মামলায় এক ব্যক্তিকে দেড় বছরের কারাদন্ড ও ১৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: অদ্য সোমবার, রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ২৭/৩১ ধারার বিধান মতে রিয়েল এস্টেট প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির এমডি মামলার মূল আসামী মোহাম্মদ মোরশেদ প্রকাশ মোরশেদ বিল্লাহ কে দেড় বছরের কারাদন্ড এবং পনের লক্ষ টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রামের বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালতের বিচারক কাজী শরীফ উদ্দিন উক্ত রায় প্রচার করেন। আসামী মোহাম্মদ মোরশেদ প্রকাশ মোরশেদ বিল্লাহ ফটিকছড়ির ধর্মপুর আজাদী বাজার বিল্লাল মাঝির বাড়ি এলাকার জনৈক আবুল খায়েরের পুত্র। উক্ত আসামী শুরু থেকে পলাতক থাকায় গ্রেফতারের দিন থেকে তার সাজা কার্যকর হবে। মামলার বাদী অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ শিহাব উদ্দীন ইমাম এর পক্ষে আমমোক্তার তৎ পিতা অবসর প্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা এ.এম.এম হায়দার ঈমাম বিগত ৩০/১২/২০১৪ ইং তারিখ রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জি.টি.সি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিঃ এর পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহ মোট ৬ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। যার সি.আর মামলা নম্বর- ২৯৫/২০১৪ হয়। মামলায় সকল আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে গ্রহণ করে পরবর্তীতে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বাদীপক্ষে বিজ্ঞ আদালতে বাদীর অভিযোগের সমর্থনে দলিলপত্র সাক্ষ্য প্রমান উপস্থাপন এবং যুক্তিতর্ক শুনানী শেষে অদ্য আদালত ৬ আসামীর মধ্যে ১নম্বর আসামী মোহাম্মদ মোরশেদ প্রকাশ মোরশেদ বিল্লাহ কে দোষী সাব্যস্থ করে দেড় বছরের কারাদন্ড এবং ১৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাদী পক্ষে নিয়োজিত আইনবিদ এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বলেন, অভিযোগে বর্ণিত ৬ আসামীর মধ্যে ১নং আসামীকে দোষী সাব্যস্থ করে কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড প্রদান করলেও অপরাপর ৫ আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদানের বিষয়ে রায়ের বিস্তারিত কপি দেখে পরবর্তীতে প্রয়োজন মনে করলে উচ্চ আদালতে আপীল দায়ের করা হবে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার বাদী রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জি.টি.সি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিঃ এর সাথে বাদী চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানাধীন পাহাড়তলী মৌজা এলাকায় একটি নির্মানাধীন বহুতল ভবনের ৮ম তলায় ১৩১৮ বর্গফুট পরিমাপের একটি ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য একখানা রেজিষ্ট্রার্ড চুক্তিনামা সম্পাদন করেন। উক্ত চুক্তিনামার শর্ত মতে দফে দফে বাদী আসামীগণকে সর্বমোট ১২,৮০,০০০/- টাকা পরিশোধ করেন। পরবর্তীতে আসামীগণ পরস্পর যোগসাজশে চুক্তিনামার শর্ত মতে যথাসময়ে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিয়ে বাদীর সহ অগনিত গ্রাহকের টাকা ফেরৎ না দিয়ে আত্মসাত করে। বাদীর উক্ত পরিশোধিত টাকা এবং চুক্তিনামার শর্তমতে ভাড়া বাবদ প্রদেয় টাকা সহ সর্বমোট ১৫,০০,০০০/- (পনের লক্ষ) টাকা ক্ষতিপূরন সাব্যস্থক্রমে ১নং আসামীকে দেড় বছরের কারাদন্ড এবং ১৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। মামলার বাদী অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার হাসান ঈমাম বলেন, ডেভেলপার কোম্পানীর নামে সর্বমোট ৬জন আসামী প্রতারনায় জড়িত। ৫জনকে খালাস দেওয়ায় এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল দায়ের করা হবে। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন- এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান, এডভোকেট এ.এইচ.এম জসিম উদ্দিন, এডভোকেট প্রদীপ আইচ দীপু, এডভোকেট মোঃ হাসান আলী, এডভোকেট মোঃ বদরুল হাসান, এড খুশনূদ রাইসা, এডভোকেট কে.এম. শান্তুনু চৌধুরী, এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আরমান প্রমুখ।

মন্তব্য করুন