নিউজগার্ডেন ডেস্ক: আমাদের দেশে যে কয়টি স্বনামধন্য সংস্থা রয়েছে, চাকতাই মহল্লা ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা তাদের অন্যতম। তবে সব কিছুর বাইরে চাকতাই মহল্লা ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা যে মানবিক কাজগুলো করে যাচ্ছে, তা অনুকরণীয়। সরকারের পাশাপাশি সমৃদ্ধিশালী দেশ গঠনে ‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’ স্লোগান নিয়ে কাজ করছে চাকতাই মহল্লা ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা। করোনাকালে অনেকেই যার যার অবস্থান থেকে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। চাকতাই মহল্লা ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থাকেও দেখেছি বিপুল পরিমাণ সাহায্য নিয়ে দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে। ‘খাদ্য সহায়তাও আমরা দিয়ে এসেছি বহু বছর থেকে। এবারও আমরা শুরু করেছি। ২০২৩ সালে ১৪তম পর্বে ৩৬ বস্তা চাউল বিভিন্ন মাদরাসায় দেয়ার পরিকল্পনা, এরিই মধ্যে ১৪ বস্তা বিতরণ হয়ে গেছে। এটা ধারাবাহিকভাবে করেই যাচ্ছে চাকতাই মহল্লা ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা। এটা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়া হয় নি, কারণ চাকতাই মহল্লা ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কর্মীরা তো মাঠেই কাজ করে যাচ্ছে।’

চাকতাই মহল্লা ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার এমন ভূমিকার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। চাকতাই মহল্লা ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার ঈদ উপহার কার্যক্রমও প্রশংসনীয়। অনেক দরিদ্র পরিবারে ঈদের আনন্দ বয়ে এনেছে তাদের ঈদ উপহার। সাম্প্রতিক সময়ে আরো বেশ কিছু বিষয়ে চাকতাই মহল্লা ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা এগিয়ে এসেছে, যা আমরা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে অবহিত হচ্ছি। এসব সংবাদ আমাদের আশাবাদী করে তোলে। আমরা শুনেছি, চাকতাই মহল্লা ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার অর্থায়নে দেশের বিভিন্ন স্থানে সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র শিশুদের পড়াশোনার জন্য মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় স্থাপিত এসব মাদরাসা শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। এসব মাদরাসা দেশের সব এলাকায় ছড়িয়ে পড়ুক, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
চাকতাই মহ
ল্লা ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে দরিদ্র নারীদের বিনা মূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন দেওয়া হচ্ছে। এমন উদ্যোগও প্রশংসার দাবি রাখে। সরকারের পাশাপাশি চাকতাই মহল্লা ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থাগুলো এভাবে দরিদ্রদের কল্যাণে এগিয়ে এলে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করা কঠিন কাজ নয়। চাকতাই মহল্লা ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার আরেকটি মহতী উদ্যোগের কথাও আমি শুনেছি। তা হলো পাঠাগার স্থাপন।

চাকতাই মহল্লা ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে এই পাঠাগারগুলোও দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের অনেকেই এখন গল্প, উপন্যাস পড়তে অনাগ্রহী হয়ে উঠেছে। গ্রামে এখন সেভাবে পাঠাগারও নেই। তাই এমন পাঠাগার স্থাপন ওই এলাকার শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে বিরাট ভূমিকা রাখবে। সর্বোপরি দেশের কল্যাণে চাকতাই মহল্লা ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার এই মানবিক কাজগুলো সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।
আমাদের সব সময় পরিকল্পনা থাকে যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত থাকি। আমাদের কর্মীদেরও প্রস্তুত রাখি। যখনই প্রয়োজন হবে, মানবিক কার্যক্রম আমরা জোরদার করব।