
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: পেশাজীবী নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমসহ ১৫ রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে ফরমায়েশি সাজার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম শাখা।
সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি ও সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী সহ ১০১ জন পেশাজীবী নেতা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, সকল প্রতিবাদী কণ্ঠ নির্মূল করার সরকারি নীল নকশা অনুযায়ী আদালতকে ব্যবহার করে পেশাজীবীও বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে এ রায় দেয়া হয়েছে। যা কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়ার মতো নয়। এর আগে দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও যায়যায় দিন সম্পাদক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ৭ বছরের ফরমায়েশি সাজা দেয়া হয়। একইভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বেশক’জন জাতীয় নেতার বিরুদ্ধে ফরমায়েশি সাজা দেয়া হয়েছিল। এছাড়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে সাত বছর ধরে জেলে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে ভিন্নমত দমন এবং জনপ্রিয় রাজনীতিকদের নির্বাচনে অযোগ্য করে ক্ষমরা দখল করা।
পেশাজীবী নেতৃদ্বয় বলেন, দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে সরকার সব ক্ষেত্রে বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে। আমরা অবাক বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে জনগণের মৌলিক, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকারগুলো হরণ করা হচ্ছে। পেশাজীবীসহ গণতন্ত্রকামী মানুষকে বিচার বিভাগ দিয়ে চরমভাবে হয়রানি-নির্যাতন-নিপীড়ন করা হচ্ছে। যার ফলে দেশে একটা বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। মৌলিক অধিকার বাধাগ্রস্ত হলে মানুষের আদালতের শরনাপন্ন হয়। আজ উল্টো আদালতই মৌলিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা।
বিএসপিপি’র বিবৃতিতে বলা হয়, ফরমায়েশি সাজা প্রাপ্তদের মধ্যে কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম একজন পেশাজীবী নেতা, হাবিবুর রহমান হাবিব নব্বইয়ের গণঅভ্যূত্থানের অন্যতম নায়ক, মোহাম্মদ শাহজান প্রবীণ রাজনীতিক ও সাবেক সংসদ সদস্য, আহসান হাবিব লিঙ্কন সাবেক সংসদ, বেলাল আহমেদ জাতীয় নেতা, বাকিরা সবাই দেশ প্রেমিক রাজনীতিক। যাঁরা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পূণরুদ্ধার, গুম, খুন ও বিনাবিচারে মানুষ হত্যা বন্ধসহ এক দফার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। সোচ্চার ছিলেন বর্তমান সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও দু:শানের বিরুদ্ধে। পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ বলেন, কথায় কথায় যেভাবে ভিন্নমতাবলম্বীদের ফরমায়েশি সাজা দেয়া হচ্ছে এতে মনে হচ্ছে সরকার দেশে ভিন্নমতের কোন অস্তিত্বই রাখতে চান না। যে আদালত হওয়ার কথা মানুষের ভরসাস্থল আজ সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ফরমায়েশি সাজা দেয়ার কারণে সে আদালত আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই ফরমায়েশি রায় বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, এধরনের ফরমায়েশি রায়ের কারণে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের সর্বশেষ আশাটুকু শেষ হয়ে যাচ্ছে। আইনের শাসনের গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা তুলে ধরে বলেন, আইনের শাসনের মূল কথা হলো আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান। অর্থাৎ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি থেকে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত সকলের জন্য আইন একইভাবে প্রযোজ্য হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আদালতকে ব্যবহার করা হচ্ছে ভিন্নমত দমন ও ক্ষমতা দখলের অস্ত্র হিসেবে। তাই দেশের সকল নাগরিককে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাই। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের প্রিয় এই মাতৃভূমি মনুষ্য বসবাসে অযোগ্য হয়ে পড়বে।
বিবৃতিদাতাগণ হলেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নছরুল কাদির, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. নাজিম উদ্দিন, ড্যাব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি ডা. জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি ডা. তমিজ উদ্দিন মানিক, ড্যাব চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি ডা. আব্বাস উদ্দিন, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. কফিল উদ্দিন, শিল্পপতি সারোয়ার আলমগীর, সাংবাদিক ইসকান্দর আলী চৌধুরী, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. এনামুল হক, এড. মফিজুল হক ভূঁইয়া, ইউনাইটেড ল ফোরামের এড. আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক এড. জহুরুল আলম, এড. এস.ইউ.এম নুরুল ইসলাম, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. ফয়েজ, এড. আলাউদ্দিন, এড. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, এড. জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এড. হাসান আলী, এড. আবদুস সাত্তার সরোয়ার, এড. মকবুল কাদের চৌধুরী, রোটারিয়ান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সমাজসেবক জসিম ফিরোজ, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শিল্পী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, ড্যাব নেতা ডা. সরোয়ার আলম, ডা. মো. ইছা চৌধুরী, ডা. মোনায়েম ফরহাদ, ডা. সাকিবুর রশিদ, ডা. ইফতেখার লিটন, ইঞ্জি: মো.ওসমান গণি, ইঞ্জি: আতিকুজ্জামান বিল্লা, ইঞ্জি: কিবরিয়া, প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. সাফা, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম, এড. জালাল উদ্দিন পারভেজ, এড. তৌহিদুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, ডা. আবু জাফর, ডা. আবদুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাহাবউদ্দিন, ডা. কামরুন্নাহার দস্তগীর, ডা. আশরাফ কবির ভূঁইয়া, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সালাহউদ্দিন আলী, মাহবুব রানা, ডা. শাহনা বেগম, ডা. আবদুল মোতালিব, অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দিন, ডা. জিয়াউদ্দিন, এড. জহিরুল আলম, ডা. ফয়জুর রহমান, ডা. রাজীব চৌধুরী, ডা. মো. ইয়াছিন, প্রকৌশলী আমিনুর রহমান সুমন, এম. মনজুর উদ্দিন চৌধুরী, প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক জাফর উল্লাহ তালুকদার, ডা. রাসেল ফরিদ, এড. আজিজুল হক, ডা. কাজী মাহবুব আলম, ডা. সৈয়দ মাহমুদুল ইসলাম, ডা. ফেরদৌস আরা সালমা, ডা. হোসনে আরা বেগম, ডা. রিফাত আক্তার, এড. বিলকিস আরা মিতু, এড. রুনা কাশেম, ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ হাসান, ডা. ময়নাল হোসেন, এড. আশরাফী বিনতে মোতালেব, এড. আয়শা আক্তার সনজি, ডা. হাসান আল মান্না, ডা. সাগর আজাদ, ডা. আহমদ উল্লাহ চৌধুরী, ডা. নুরুল আবছার খান, ডা. মিনহাজুল আলম, ডা. মো. মঈনউদ্দিন, ডা. সাকিবুর রশিদ, এড. তৌহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক এফ.এ.এফ রুমি, নারীনেত্রী আরজু শাহাবউদ্দিন, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. রোকনুজ্জামান, অধ্যাপক মো. আলামিন, অধ্যাপক মো. শাহাদাত হোসেন, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. শাহনাজ সুলতানা, অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম, কৃষিবিদ প্রফেসর ডা. লুৎফর রহমান, ডা. সুলতান মাহমুদ হাসান, এড. অধ্যাপক কাজী সাইফুদ্দিন, অধ্যাপক আবু নাছের, অধ্যাপক জাকারিয়া, অধ্যাপক মো. আবদুল মাবুদ, অধ্যাপক জহুরুল আলম, ডা. ইমরান হোসেন, ডা. মিনহাজুল আলম ও গোলাম ফারুক।