“বাবুদের সাকো”

ওসমান চৌধূরী, চন্দনাইশ প্রতিনিধি: চন্দনাইশ উপজেলার সবচেয়ে অবহেলিত, সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন ধোপাছড়ী ১০নং ইউনিয়ন। পাহাড় পর্বতে ঘেরা সাঙ্গু নদীর উপকূলে মোহনীয় নয়নাভিরাম, মনমাতানো এক এলাকার নাম। দুঃখের বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে আজ প্রায় ৫২ বছর। চন্দনাইশ উপজেলার সব ইউনিয়নে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। এইদিক দিয়ে ধোপাছড়ীবাসী উন্নয়নের ছোয়া থেকে বঞ্চিত।
হয়নি কোন সড়ক গড়ে উঠেনি সরকারী তেমন স্থাপনা, যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে তার মধ্যে ধোপাছড়ী শীলঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের বহুতল বভন, সাংঙ্গু নদীর ভাঙ্গন রোধে ব্লক বসানো। এই উন্নয়ন ছাড়া না হলো রাস্তার কাজ না হলো সড়ক উন্নায়নের কাজ। এমন কি ধোপাছড়ী ইউনিয়নের সাথে উপজেলার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম খান হাট টু ধোপাছড়ী টু বান্দরবান সড়কটি এখনো উন্নয়নের মুখ দেখেনি। সড়ক টি দুই ভাগে বিভক্ত বান্দরবান ডলু পাড়া টু ধোপাছড়ী পর্যন্ত বান্দরবান সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে। ইতি মধ্যে সড়কের কাজ প্রায় শেয করেছে। ধোপাছড়ী টু খান হাট সড়ক টি দোহাজারী সওজের অধীনে কিন্তু দোহাজারী সড়ক বিভাগ এখনো কোন কাজ করেনি। কিছুদিন আগে মাটিকাটার কাজ চলছিল কিন্তু বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির কারণে সড়কটির বেহাল আবস্থা।
এইবার আসি বাবুদের সাকো প্রসঙ্গেঃ- ঐতিহ্যবাহি ধোপাছড়ী ছড়ার সেতুটি করার জন্য ধোপাছড়ীবাসী অনেক দৌঁড়ঝাপ করেছে, কিন্তু যেই লাউ সেই কদু। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকে এই পর্যন্ত মাটি পরিক্ষা নিরিক্ষার কাজ চলেছে হাজার বারের উপরে। এখনো শেষ হয়নি। বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল আলিম নির্বাচনি ওয়াদা দিয়েছিলেন একবারের মধ্যে সেতু দৃশ্যমান হবে কিন্তু দূবছর শেষ একজনো সেতুর অবকাঠামো শেষ হয়নি।
ধোপাছড়ী বাশী বারবার নেতাদের কাছে প্রতারিত হওয়ার পর যখন চোখে অন্ধকার দেখছিল ঠিক সেই মুহূর্তে মানবতার ফেরিওয়ালা ধোপাছড়ীবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে নিজস্ব তহবিল থেকে বর্তমান চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান বারবার নির্বাচিত আলহাজ্ব আবদুল জব্বার চৌধূরী একটি কাঠের সাঁকো উপহার দেন। যাই হউক নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো.। ধেপাছড়ী বাসী আজ প্রাণ খুলে দোয়া করছেন এবং ধোপাছড়ী উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে জানাচ্ছে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা সহ অভিনন্দন।

মন্তব্য করুন