নিউজগার্ডেন ডেস্ক: একাত্তরে পরাজিত শত্রুরা এখনো নির্মূল হয়নি। একাত্তরে পরাজিত সাম্প্রদায়িক এই অপশক্তিই এদেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা-নির্যাতনসহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চালাচ্ছে। তারা পাকিস্তানের ভাবধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠার অপচেষ্ঠায় লিপ্ত। বিভিন্ন সেক্টরে নানা ছদ্মাবরণে সাম্প্রদায়িক এই অপশক্তি সক্রিয় রয়েছে। এই অপশক্তিকে প্রতিরোধ করে সমূলে উৎপাটন করতে হবে।
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। সম্প্রতি নগরীর বৈঠকখানা কনভেনশন হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরিষদের উপদেষ্টা সাংবাদিক প্রীতম দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউনুস গণি চৌধুরী এবং অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী অনিক দাশগুপ্ত। হিন্দু সমাজকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দে’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ রাজনীতিক স্বপন সেন, পরিষদের সহ-সভাপতি সৌমেন দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক অমরনাথ নন্দী, উজ্জ্বল পাল চৌধুরী, কল্যাণ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
সভার শুরুতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অচিন্ত আচার্য। বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনার ওপর ভিত্তি করে ৭২’র সংবিধান রচিত হয়েছিল। কিন্তু ৭৫’এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টা শুরু হয়। ৭৫’র হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তারা চেয়েছিল পাকিস্তানের মতো রাষ্ট্রীয় সংবিধানে সাম্প্রদায়িকীকরণ করতে। ৭২’র সংবিধান প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।