চট্টগ্রামে যুবদল নেতাকর্মীদের হয়রানির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দীপ্তি ও সাহেদ

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার ঘটনায় সারাদেশে নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন, হয়রানির গণগ্রেপ্তারের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে যুবদল নেতাকর্মীদের পুলিশী গ্রেফতার ও ঘরে ঘরে তল্লাশী চালিয়ে হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের মোশাররফ হোসেন দীপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাহেদ।

নেতৃদ্বয়, গতকাল রাতে নগরীর ১৯ নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড মোহাম্মদ জামাল, মোঃ আক্তার, মোহাম্মদ রুবেল, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড যুবদল নেতা মোহাম্মদ ফয়সাল, মোঃ সাজ্জাদ, ৩৫ নং বকশিরহাট ওয়ার্ড যুবদল নেতা মোহাম্মদ মানিক, ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড যুবদল নেতা মোহাম্মদ সাকিব, ডবলমুরিং থানাধীন ১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড যুবদল নেতা মোহাম্মদ ফিরোজ, মোহাম্মদ শরীফ, ৯ নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড যুবদল নেতা মোঃ হাবিব, মোঃ ইউসুফকে বাসা থেকে গভীর রাতে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে অভিযোগ করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আজ ৩০ অক্টোবর (সোমবার) এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন বানচালের উদ্দেশ্যে সোমবার সকালে বিএনপিকে সরকার অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতনের শিকার জনগণের পিঠ দেয়ালে গিয়ে ঠেকেছে।
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে এবং অন্যান্য বিরোধী দলের সমাবেশে জনতার ঢল দেখে সরকার খেই হারিয়ে ফেলেছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তারা দিশাহারা হয়ে পড়েছে। জনসমর্থনহীন জালিম সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার করছে। তারই ধারাবাহিকতায় যুবদলের নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এই গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ সেই সাথে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান তারা।
অপর এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন বানচালের উদ্দেশ্যে সরকার পরিকল্পিতভাবে এই গ্রেফতার করে চলেছে। এভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে জেলে ঢুকিয়ে জনগণের আন্দোলন অতীতে যেমন কোনো সরকার দমন করতে পারেনি, তেমনি বর্তমান সরকারও পারবে না। আমরা সরকারের এই সব অন্যায় গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণের দাবি অবৈধ জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। সরকার যত তাড়াতাড়ি এ দাবি মেনে নেবে, দেশের জন্য ততই কল্যাণকর হবে। তাই জনগণের নিরপেপক্ষ সরকারের দাবি মেনে নিয়ে দেশকে বর্তমান সংকট থেকে উদ্ধার করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, হামলা, মামলা ও গ্রেফতার করে বিরোধী দলের চলমান সরকার পতন আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না। বর্তমান সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দেশ বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ যেন করতে না পারেন সে জন্য বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ইতিহাস বলে নির্যাতন করে কোনো সরকারই টিকে থাকতে পারেনি। বর্তমান সরকারও পারবে না। আমরা খুব পরিস্কার করে বলতে চাই, এভাবে সন্ত্রাসী হামলা করে, আহত করে, জখম করে, হত্যা করে, গ্রেফতার করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে কখনোই আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা যাবে না, যুবদলকে রাজপথ থেকে সরানো যাবে না।

মন্তব্য করুন