
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবী ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখর”ল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবীতে বিএনপির ডাকে সারাদেশে তিনদিনের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চলছে। অবরোধের সমর্থনে প্রথমদিন চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রবেশপথ অবর”দ্ধ করে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন প্রবেশপথে মহানগর বিএনপির শত, শত নেতাকর্মী অবস্থান নেন। তবে এসময় পুলিশ বিভিন্নস্থানে বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা ও গ্রেফতার নির্যাতন চালিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপির আরও ৩৫ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে চট্টগ্রাম নগরীর প্রবেশপথ সিটি গেট এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিয়েছিলেন মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ অহেতুক শান্তিপূর্ণ অবস্থানে টিয়ার সেল ও গুলি চালিয়ে আহত করে বিএনপির ১৪ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সি. যুগ্ম সম্পাদক মো. ইয়াছিন, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম সুমন, মহানগর যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সাজু, আব্দুল্লাহ আল মামুন জিতু, গোলাম নবী আপেল, যুবদল নেতা মো. মহিউদ্দিন, ফরহাদ হোসেন, মো. আলমগীরও রয়েছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা জানাচ্ছি, পুলিশের পক্ষ থেকে যে ককটেল উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো পুলিশের সাজানো নাটক। বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে গিয়ে পুলিশ ককটেল উদ্ধারের সাজানো ঘটনা ঘটিয়েছে। বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ সারা দিয়ে কর্মসূচিকে সফল করেছে।
তাছাড়া সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরো চট্টগ্রাম মহানগরীতে থানা পুলিশ ও সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। তারমধ্যে চকবাজার ওয়ার্ড বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হাসনাত মাসুদকে গভীর রাতে এবং চকবাজার থানা ছাত্রদলের আহবায়ক আলাউদ্দিন আলো, চকবাজার ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. মামুনকে চকবাজার থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাছাড়া চান্দগাঁও থানা পুলিশ থানা যুবদল নেতা মো. বেলাল আমিন, আবদুস সালাম, চবি ছাত্রদল নেতা মো. সাকিবকে, পতেঙ্গা থানা যুবদল নেতা আব্বাস উদ্দিন খানকে, হালিশহর থানা বিএনপি নেতা মো. শাহজাহান, মোহাম্মদ মিন্টু, গোলাম মোহাম্মদ ও যুবদল নেতা পারভেজকে, ডবলমুরিং থানা কোকো স্মৃতি সংসদের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ রবিনকে, পাঁচলাইশ থানায় যুবদল নেতা আবদুল মান্নান, কোতোয়ালি থানা ৩৫ নং বকশিরহাট ওয়ার্ড যুবদল নেতা মঞ্জুর আলম ডিশ মন্জু, বায়েজিদ থানা জালালাবাদ ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. রাসেলকে, বাকলিয়া থানা ১৭ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. জাহেদ, পাহাড়তলী থানা ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. মোস্তফাকে গ্রেফতার করেছে।
সিটি গেট এলাকায় পুলিশের গুলিতে মারাত্মক আহত হয়েছেন ছবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ। পুলিশের শত বাধা বিপত্তির মধ্যেও নগরীর বদ্দারহাট বাস টার্মিনালের সামনে ও শাহ আমানত ব্রীজ সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।