
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবী ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবীতে বিএনপির ডাকে সারাদেশে তিনদিনের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চলছে। শান্তিপূর্ণ অবরোধের ২য়দিন বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১ নভেম্বর (বুধবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত যুবদলের আরও ৩ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ অহেতুক শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদেরকে আটক করেছে। গ্রেপ্তারকৃত মধ্যে রয়েছে ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ ইস্কান্দর, আকবরশাহ থানা যুবদল নেতা মোঃ সালাউদ্দিন, ৩৭ নং উত্তর মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড যুবদল নেতা মোঃ মোসলেহ উদ্দিন।
গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাহেদ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে বলতে চাই-এভাবে গ্রেফতার ও নানা কায়দায় জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে চলমান গণআন্দোলনকে দমন করা যাবে না। জনগণ বুঝে গেছে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা নিজেরাই ঘটিয়ে অন্যের উপর দোষারোপ আওয়ামীলীগের নোংরা রাজনীতি। হামলা, মামলা ও গ্রেফতার করে বিরোধী দলের চলমান সরকার পতন আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না। বর্তমান সরকারের আমলে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দেশ ও ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ যেন করতে না পারেন সে জন্য বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ইতিহাস বলে নির্যাতন করে কোনো সরকারই টিকে থাকতে পারেনি। বর্তমান সরকারও পারবে না। আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়-বিশ্বের বড় বড় স্বৈরাচারেরাও জনগণের নিকট পরাজিত হয়েছে। বর্তমান আওয়ামী দখলবাজ সরকারকেও জনগণের ন্যায্য আন্দোলনের কাছে মাথা নত করে বিদায় নিতে হবে। এভাবে সন্ত্রাসী হামলা করে, আহত করে, জখম করে, হত্যা করে, গ্রেফতার করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে কখনোই আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা যাবে না। বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলকে রাজপথ থেকে সরানো যাবে না।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আওয়ামীলীগ একটা নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ, পরিস্থিতিকে তারা পুরোপুরি নস্যাৎ করে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ একটি গণতন্ত্র বিরোধী শক্তি, সন্ত্রাসী শক্তি, তারা দেশের মানুষের অধিকারকে হরণকারী শক্তি। আওয়ামী লীগ অতীতেও একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলো এখনো তারা একই উদ্দেশ্যে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়।