নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গতরাত ১টায় ঢাকায় গুলশানের একটি বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মো. নাছির উদ্দীন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, কৃষক দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে করে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার পাঁয়তারা শুরুকরেছে আওয়ামী সরকার। এই লক্ষ্যে তারা বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করছে। বিএনপিকে নেতৃত্বশুন্য করতেই ফ্যাসিস্ট সরকার বিএনপি’র জাতীয় নেতৃবৃন্দকে ধারাবাহিকভাবে গ্রেফতার করে যাচ্ছে। রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে। বর্তমান সরকার বিএনপি’র নেতৃত্বে চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে ভীত হয়ে পড়েছে। তাই সরকার গ্রেফতার নির্যাতন চালিয়ে বিএনপির আন্দোলন দমন করার পায়তারা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা সহিংসতাকে উসকে দিচ্ছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরুমাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানকে ঝুঁকিপূর্ণ করেছে। কিন্তু বিএনপির আন্দোলন দমানোর জন্য সরকারের কোন কৌশলই সফল হবে না। বিএনপির নেতৃত্বকেও দুর্বল করা যাবে না। কারাগারের বাইরে থাকা বিএনপির সর্বশেষ ব্যক্তিটি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পতন হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকার এখন দিশেহারা হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতারের খেলায় মেতে উঠেছে। নির্বাচনের আগে বিএনপিকে মাঠ ছাড়া করতে সরকার আবারও সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ তৃণমূল নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা শুরুকরেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের পুরানো গায়েবি মামলাগুলো দ্রুত শেষ করা হচ্ছে। লক্ষ্য একটাই, আবারও বিনাভোটে জোর করে, কারচুপি করে যেনতেনোভাবে ক্ষমতা দখল করা। এই লক্ষ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং গ্রেফতার করে গোটা দেশকেই কারাগারে পরিনত করেছে সরকার। আমরা এই গ্রেফতার ও হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
নেতৃবৃন্দ আমীর খসরুমাহমুদ চৌধুরী সহ ইতিপূর্বে চট্টগ্রামে গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।