দেশে নিষ্ঠাবান মানুষের বড় অভাব: প্রফেসর মো: আবুল কাসে

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য ও মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা প্রফেসর মো: আবুল কাসেম বলেছেন, দেশে নিষ্ঠাবান মানুষের বড় অভাব। তাই সংগঠন করতে মানুষ এগিয়ে আসছে না। সংগঠন করতে হলে নীতি আর আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। সংগঠনকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে ভবিষ্যতের নেতৃত্ব বেরিয়ে আসে। সেই ধরনের একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন ছিদ্দিকুল ইসলাম। তিনি ছিলেন একজন শ্রমিক নেতা, সেবক ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন সেই পরীক্ষিত নেতা যিনি শ্রমিক স্বার্থ রক্ষায় নিজের স্বার্থ কখনও দেখেন নি। তাঁর মৃত্যুর পর বোঝা গেছে শ্রমিকদের অন্তরের ভালবাসার নেতা ছিলেন। এদেশের শ্রমজীবি জনগণের বিরাট ক্ষতি হয়েছে যা পূরণ করা সম্ভব নয়। তিনি আমাদের মাঝে তার চারিত্রিক মাহাত্ম্য ও অমায়িক গুণাবলির দ্বারা এমন স্মৃতি রেখে গেছেন, যা ভুলে যাওয়ার নয়। তিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন চট্টগ্রামের প্রিয়মুখ। এলাকার মানুষের সঙ্গে নিবিড় সর্ম্পক গড়ে তুলে ভাসানীর আর্দশের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব এস রহমান মিলনায়তনে ভাসানীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য চাই সংগ্রামী জননেতা ছিদ্দিকুল ইসলামের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণ সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ছিদ্দিকুল ইসলাম আজ নেই। তিনি আর কোনোদিন ফিরেও আসবেন না। তিনি রেখে গেছেন একজন আদর্শ রাজনীতিবিদ, শ্রমিক সংগঠক, একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক, একজন শীর্ষস্থানীয় সমাজসেবক, একজন নিষ্ঠাবান আদর্শ মানুষ। এ আদর্শের অনুশীলন ও মূল্যবোধের চর্চার মাধ্যমেই তিনি বেঁচে থাকবেন আগামী প্রজন্মের কাছে।

হাফেজ আলী হোসেন নিশানের কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠান চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ কফিল উদ্দিন চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ও মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল গফ্ফার খানের পরিচালনায় বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ’র আহ্বায়ক বিশিষ্ট সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আমির উদ্দিন, অন্যান্য আলোচকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াস, এডভোকেট ভুলন লাল ভৌমিক, অধ্যাপক ড: শিব প্রসাদ শূর, হাসান মারুফ রুমি, কৃষক নেতা মো: ইউসুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার শামসুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়া বাবুল, মাস্টার এ কে এম মোফাজ্জল হায়দার, এডভোকেট আবু তাহের, শহীদ শিমুল, ক্যাপ্টেন মোবারক হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাখাওয়াত হোসেন শানু। পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ছিদ্দিকুল ইসলামের একমাত্র সন্তান মো. রুবেল প্রমুখ। এতে আরো বক্তব্য রাখেন দেশপ্রেমিক প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ।

ব্ক্তারা বলেন, ছিদ্দিকুল ইসলাম ছিলেন শ্রমিক কৃষক মেহনতি মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সারা জীবন কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের রাষ্ট্র গঠনের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। ছিদ্দিকুল ইসলামও মওলানা ভাসানীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সারা জীবন শ্রমিক কৃষক মেহনতি মানুষের রাষ্ট্র গঠনের জন্য সমাজ বিপ্লব সংগঠিত করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দরা সকাল সাড়ে দশটায় ছিদ্দিকুল ইসলামের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

মন্তব্য করুন