নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বিগত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সহ সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তারের পর এবার চট্টগ্রামে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে অভিযান ও মিথ্যা গায়েবী মামলা দেওয়া শুরু করেছে পুলিশ। বিএনপির ডাকা অবরোধ ও হরতালকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের মতো আবারো গায়েবি মামলা দায়ের শুরু হয়েছে। ঢাকার সমাবেশের পর থেকে চট্টগ্রামের দশ থানায় এই পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৩ টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব মামলায় শত শত নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে চান্দগাঁও থানায় ১টি, পাঁচলাইশ থানায় ১টি, বায়েজিদ থানায় ৩টি, আকবর শাহ থানায় ২টি, খুলশী থানায় ১টি, পাহাড়তলী থানায় ১টি, ইপিজেড থানায় ১টি, কোতোয়ালী থানায় ১টি, হালিশহর থানায় ১টি ও পতেঙ্গা থানায় ১টি করে মোট ১৩টি মামলা দায়ের করেছে।
গতকাল সোমবার (৬ নভেম্বর) রাতে নগরীর অক্সিজেন মোড় থেকে জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির ধর্ম সম্পাদক বালুচরা এলাকার হাজী মো. সিরাজ পাশাকে বায়েজিদ থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাছাড়া গতকাল রাতে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পরিবার কল্যাণ সম্পাদক জাকির হোসেন মিশু, চকবাজার থানা পুলিশ চট্টগ্রাম মেডিকেলের সামনে থেকে বিএনপি নেতা মো. ইউসুফ, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য মেজবাহ উদ্দিন উজ্জ্বল, ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ জাবেদ হোসেনকে পাঁচলাইশ থানা, সদরঘাট থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন, চাঁন্দগাও যুবদল নেতা জামাল উদ্দিন, ৪৩ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মোহাম্মদ রাজু, বক্সির হাট যুবদল নেতা মো. সাইফুল ও মো. আবু ছৈয়দ, দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড যুবদল নেতা সামসুদ্দীন শামসু সহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা জানাচ্ছি যে, সরকারের পদত্যাগের দাবীতে বিএনপির একদফার আন্দোলনে ভীত হয়ে চট্টগ্রামে গণ গ্রেফতার শুরু করেছে সরকার। তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ের কাউকেই রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। তারা নির্বাচনের নামে তামাশা করার জন্য দেশকে বিরোধী দলশূন্য করার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে আওয়ামীলীগ নানা ধরনের নাশকতা করে এর দায় বিএনপির ওপর চাপাচ্ছে। তাই বিএনপির অবরোধ কর্মসূচিতে সব নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে হবে।