নিউজ ডেস্ক

পুলিশ বিএনপি নেতাদের বাড়িতে গিয়ে তাদের না পেয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে বিএনপির প্রতিবাদ

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: শান্তিপূর্ণ অবরোধকে কেন্দ্র করে পুলিশের মামলা ও পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিএনপি নেতারা।

পুলিশের এধরনের গ্রেফতারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মো. নাছির উদ্দীন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপির চলমান অবরোধকে কেন্দ্র করে পুলিশ চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেফতার করছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের আটক করতে না পেরে পরিবারের অন্য সদস্যদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে বাসায় না পেয়ে তাদের পিতা, ভাই কিংবা অন্য সদস্যদের অন্যায়ভাবে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর ৯ নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের নিউ শহীদ লেইন ইউনিট যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাসেলকে তার নিউ শহীদ লেইনস্থ বাসায় না পেয়ে তার ছোট ভাই মহিন উদ্দিনকে আকবর শাহ থানার পুলিশ গ্রেফতার করে নতুন মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে। অথচ মহিন উদ্দিন রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। পুলিশ তল্লাশীর সময় বাসায় ভাংচুর ও পরিবারের মহিলা ও শিশু সদস্যদের সাথে চরম দূর্ব্যবহার করছে। তাছাড়া বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হককে বাড়িতে না পেয়ে তার বড় ভাই এমদাদুল হককে গভীর রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এমদাদ রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। শুক্রবার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় এমদাদকে। এর আগে আমিন শিল্পাঞ্চল সাংগঠনিক ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ সুমনকে না পেয়ে তার বৃদ্ধ বাবা মোহাম্মদ কবিরকে তার বায়েজিদ বাংলা বাজারস্থ দোকান থেকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছিল বায়েজিদ থানা পুলিশ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপির নেতাকর্মীরা সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সমাবেশের মধ্য দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। যেহেতু আওয়ামী ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তরুণরা সামনের সারিতে তাই তরুণদের ওপর চলছে অত্যাচারের স্টিম রোলার। বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসার গেট ও জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকছে। তল্লাশির নামে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ির সব ঘর তছনছ করে দিচ্ছে। ভৈরবে ছাত্রদল নেতাকে না পেয়ে তার বাবাকে হত্যা করেছে আওয়ামী ক্যাডাররা। ভূয়া ও গায়েবি অভিযোগ তুলে পুলিশের সদস্যরা এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিরাতে তল্লাশির নামে হয়রানি করছে। সক্রিয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিএনপির সমর্থকরা পর্যন্ত তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। পুরো চট্টগ্রামকে যেন একটি অবরুদ্ধ কারাগার বানিয়ে ফেলা হয়েছে। আমরা পুলিশ বাহিনীর এ ধরনের আচরণের নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে গায়েবি মামলা, হামলা ও গ্রেফতার নির্যাতন বন্ধ করার আহবান জানাচ্ছি।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে আজকে পর্যন্ত মহানগর বিএনপির আরো ১০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

মন্তব্য করুন