নিউজগার্ডেন ডেস্ক: গতকাল চট্টগ্রামে অক্সিজেন এ অবস্থিত মিম কমিনিউনিটি সেন্টারে হাটহাজারীর এক সাবেক শিবির নেতা সাইফুল তালুকদারে বিয়েতে তার পুত্র ও কয়েকজন স্থানীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল কর্মীদের নিয়ে উপস্থিত হন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক।
যেখানে সারা দেশের ন্যায় সরকার বিরোধী আন্দোলনের কারণে হাটহাজারীতে তথা সমগ্র চট্টগ্রামে সরকার দলীয় ক্যাডার, পুলিশ, ডিবি ও র্যাবের মামলা, গ্রেপ্তার, হামলার ভয়ে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মী গৃহহীন, ফেরারি জীবন যাপন করছে, যেখানে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের পরিবারের সদস্যরাও নির্যাতন, হয়রানি এবং গ্রেফতারের শিকার হচ্ছে সেখানে শিবির নেতার বিয়েতে এস এম ফজলুল হকের উপস্থিতিতে স্থানীয় বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছে চলছে ক্ষোভ। শিবির নেতার এই অনুষ্ঠানে দেখা যায় বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এবং কিছুদিন পূর্বে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় নতুন দলের আহবায়ক এবং মন্ত্রী হাসান মাহমুদের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচয়দানকারী চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিনের সাথে এই উপদেষ্টার খোশ মেজাজে আলাপ করতে। এই অনুষ্ঠানে হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আলম এবং উদয় সেন সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি ইলিয়াস আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনেওয়াজ চৌধুরী মুন্না, উপজেলা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রহিমুদ্দিন রাজু, উপজেলা ছাত্রদল নেতা মিনহাজ মাছুম বাবু, সুলতান তুহিন, ফজলুর পুত্র আয়মান হক।
বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক কোন রাজনৈতিক বা কোন আন্দোলনের কর্মসূচিতে দেখা না গেলেও দেশের এই পরিস্থিতিতে এবং এই প্রেক্ষাপটে উনাকে শিবির কর্মীর বিয়েতে উপস্থিত দেখে ক্ষুব্দ চট্টগ্রাম বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
গোলাম আকবর খন্দকার, মাহবুবের রহমান শামীম, ডাঃ শাহাদাত হোসেন, আবু সুফিয়ান, আবুল হাশেম বক্কর সহ বিএনপির প্রতি স্তরের নেতৃবৃন্দ যখন এই জুলুমবাজ সরকারের মামলা হামলায় জর্জড়িত এবং দুঃসহ ফেরারি জীবন যাপন করছেন তখন বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক এর অনুসারীরা সামাজিক মাধ্যমে এই ছবি প্রকাশ করলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে এবং উনি কোন কারণে আজ পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক মামলারও আসামি হলেন না সে নিয়েও চলছে তুমুল সমালোচনা। এদিকে এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা দ্রুত সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়ায় ইলিয়াস আলীর ভয়েস মেসেজও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
কর্মীরা মনে করে এই ধরনের নেতাদের আঁতাতের কারণেই আওয়ামী লীগের হাতে বিএনপির নেতা কর্মীদের হয়রানি হতে হচ্ছে আরো বেশি।