নিউজগার্ডেন ডেস্ক: টনে টনে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে পেঁয়াজ। চীন এবং পাকিস্তান থেকে এসব পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আজ ১১ ডিসেম্বর (সোমবার) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে গত দুই দিনে ২২৬ টন পেঁয়াজ নিয়ে জাহাজ ভিড়েছে। চীন এবং পাকিস্তান থেকে এসব পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। এর মধ্যে রবিবার (১০ ডিসেম্বর) চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে ১৬৮ টন। সোমবার পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হয় ৫৮ টন। এসব পেঁয়াজ খালাসের জন্য আমাদের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আমরা যাচাই-বাছাই শেষে ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চীন এবং পাকিস্তান থেকে আমদানি হয়েছে প্রায় এক হাজার টন পেঁয়াজ।’ নতুন ফসল আসার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। কেজিপ্রতি অন্তত ৩০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। শহর ও আশপাশের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় মাঠপর্যায়ে নজরদারি বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। যাঁরা অতিরিক্ত মুনাফা পাওয়ার চেষ্টা করছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করতেও বলা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এই নির্দেশনার কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তবে এই বিষয়ে আজকের মন্ত্রিসভার আলোচ্য বিষয় ছিল না বলেও জানান তিনি। সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভা বৈঠক। ভারত সম্প্রতি পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। একেক বাজারে বিক্রেতারা পেঁয়াজের একেক রকম দাম রাখছেন।
এমন অবস্থায় সাংবাদিকেরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেঁয়াজের দাম নিয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল কি না? জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে মন্ত্রিসভায় নয়, আলাদাভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাজ। তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে মাঠপর্যায়ে এখন নিবিড়ভাবে তদারক হচ্ছে। আজকে তার কিছুটা প্রভাব পাওয়া যাচ্ছে, গতকাল যে প্রবণতা ছিল, আজ তো সেই প্রবণতা নেই।’
সুনির্দিষ্ট কী নির্দেশনা ছিল, জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সরকারের তরফ থেকে নির্দেশনা হচ্ছে মাঠপর্যায়ে নজরদারি বাড়ানো। যাঁরা এসব কাজের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের দিকে নজরদারি বাড়ানো এবং যাঁরা অতিরিক্ত মুনাফা পাওয়ার চেষ্টা করছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা। নির্দেশনা পাওয়ার পর আমাদের মাঠপর্যায়ের টিম কাজ করছে।’
এই নির্দেশনা মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেওয়া হয়েছে, নাকি মন্ত্রিসভার বাইরে দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার আলোচ্য বিষয় ছিল না। এটা হলো সাধারণ প্রশাসনিক ব্যাপার। যখন একটি সমস্যা তৈরি হয়, তখন ওই মন্ত্রণালয়ে যাঁরা সংশ্লিষ্ট থাকেন, তাঁদের নিয়ে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্তগুলো দিয়ে থাকি। যেহেতু এটা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে, তাই আজ কোনো আলোচনা হয়নি।’