নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, আগামী সাতই জানুয়ারি আরো একটি একতরফা ও পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করছে। নির্বাচন কমিশন কাদেরকে জয়ী ঘোষণা করবে, গণভবনে সেই তালিকা তৈরি হয়েছে। তাই এই ডামি নির্বাচন বর্জন করুন। প্রতিটি নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সরকারকে সব ধরনের অসহযোগিতার কোন বিকল্প নেই। কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবেন না, এটি আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার। সুতরাং সাতই জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের ভোট গ্রহণে কর্মকর্তা কর্মচারীরা দায়িত্ব পালনে বিরত থাকুন। এই তামাশার নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করছে তারা দালালে পরিণত হবে। এই নির্বাচন নিয়ে জনগণের কোন আগ্রহ নেই। সাত জানুয়ারীর ডামি নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। দেশে বিদেশে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
তিনি বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে চাক্তাই খাতুন গঞ্জ এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর ডামি নির্বাচন বর্জনে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম।
মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আওয়ামীলীগ নিজেরাই নিজেদের বিরোধী দল সাজিয়ে নির্বাচন করছে। গণতান্ত্রিক বিশ্বের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে আওয়ামী ডামি, আওয়ামী স্বতন্ত্র, আওয়ামী নৌকা, মনোনীত নৌকা, আওয়ামী জোটের এক অদ্ভুত নির্বাচনের আয়োজন চলছে। এক ক্লাবের খেলা চলছে। খেলোয়াড়ও একই দলের। নিজেরাই নিজেদের বিরোধী দল। ভোটারদের কাছে আহ্বান, ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। ভোট বর্জন করুন।
আবু সুফিয়ান বলেন, মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের সুবিচার করার আদালতের স্বাধীনতা সরকার কেড়ে নিয়েছে। তাই চলমান আন্দোলন চূড়ান্ত সফলতায় পৌঁছুতে বর্তমান অবৈধ সরকারকে অসহযোগিতা শুরু করুন। অপরকে অসহযোগিতা করতে উদ্বুদ্ধ করুন। এই আন্দোলনে বিজয় লাভ করেই দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এনামুল হক এনাম বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ, অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন হওয়া সম্ভব নয়। কারন সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন অবৈধ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে সিঁড়ি হিসাবে কাজ করছে। অবৈধ নির্বাচন কমিশনাররা ইসিকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনে পরিণত করেছে।
এতে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এম মন্জুর উদ্দীন চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, খোরশেদ আলম, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জাহেদ, ইসহাক চৌধুরী, হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, নুরুল কবির, মঈনুল আলম ছোটন, শফিকুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জমির উদ্দীন চৌধুরী মানিক, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবি, সদস্য সচিব কামরুদ্দীন সবুজ, বিএনপি নেতা মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, হাসান চৌধুরী, রাসেল চৌধুরী, আবুল কালাম আবু, মোজাম্মেল হক চৌধুরী, আবুল হোসেন, সাইফুদ্দিন আহমেদ, মাহবুবুর রহমান, আবুল হোসেন বাবুল, এডভোকেট শওকত ওসমান, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক, যুবদল নেতা মহসিন খোকন, অহিদুল আলম পিবলু, সাইফুর রহমান, ইমরানুল হক বাহাদুর, মো. সোলাইমান, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফিরোজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সাজ্জাদ, এস, এম, নয়ন, শাহাদাত হোসেন, রেজাউল করিম মিজান, শোয়েবুল ইসলাম চৌধুরী, নুর শাহেদ খাঁন রিপন, শ্রমিক দল নেতা শাখাওয়াত হোসেন প্রমূখ