
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: সর্বদলীয় ফিলিস্তিন সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন আল্লামা মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ইসরাইল নারী শিশু হত্যার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ করেছে। ইসরাইলী পণ্য বয়কট করুন। ফিলিস্তিন এখন বিশে^র ইতিহাসে মজলুম জনগোষ্ঠিতে পরিণত হয়েছে। বিশ^বাসীর উচিত মানবতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগোষ্ঠির পক্ষে দাঁড়ানো। তিনি অতি দ্রুত যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে দখলদার ইসরাইলী বাহিনীকে ফিলিস্তিনের ভু-খন্ড ত্যাগের আহ্বান জানান। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি জন সাধারণের জন্য ওষুধ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও পানীয় সামগ্রীর ব্যবস্থা করার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি সর্বদলীয় ফিলিস্তিন সংহতি পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে ও জামিয়াতুল উলুম আল-ইসলামীয়া লালখান বাজার মাদরাসার ব্যবস্থাপনায় ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবীতে এক প্রতিবাদ সমাবেশ লালখান বাজার মাদরাসার ময়দানে আজ ২২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০ থেকে সারা দিনব্যাপী এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সর্বদলীয় ফিলিস্তিন সংহতি পরিষদ চট্টগ্রাম’র যুগ্ম আহ্বায়ক দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. এ.টি.এম আবু তাহের’র সভাপতিত্বে ও হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের যুব বিষয়ক কামরুল ইসলাম কাসেমীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সদ্য কারামুক্ত প্রখ্যাত ওয়েজিন মাওলানা মুফতি আমির হামজা, প্রধান বক্তা ছিলেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ’র যুগ্ম সম্পাদক আল্লামা মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরী, বক্তব্য রাখেন জাতীয় কবিতা মঞ্চের সভাপতি কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, মুফতি আব্দুল আজিজ ফেনি, মাওলানা জাফর ছাদেক, বি-বাড়িযা রহমানিয়ার সহকারী পরিচালক মুফতি আমানুল হক, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আড়াইহাজারী, যুব মজলিশ চট্টগ্রামের সভপতি রিজয়ানুল ওয়াহিদ, নোয়াখালীর মাদরাসাতুশ সুন্নাহ পরিচালক মাওলানা মুফতি ইসমাইল, মাওলানা জিয়াউর রহমান ফারুকী, লেকভিউ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নুরুল আমিন মাহাদী, নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় নেতা ক্বারী ফজলুল করিম জেহাদী, সর্বদলীয় ফিলিস্তিন সংহতি পরিষদের মুখপাত্র কাজী মুহাম্মদ আলী হাসান, মাওলানা মাহবুবুল মন্নান ও পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন হাফেজ ক্বারী রিদুয়ান উল্লাহ খান।
সভায় বিশেষ অতিথি সদ্য কারামুক্ত ওয়েজিন মুফতি আমির হামজা বলেন, যারা মজলুমের পক্ষে কথা বলে না কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন। সুতারাং মজলুমের পক্ষে কথা বলতেই হবে। তিনি পবিত্র কোরআন হাদিসের আলোকে বলেন, যদি শক্তি থাকে হাত দিয়ে প্রতিহত করবেন নির্যাতনকারীদের, যদি তা না থাকে মুখে প্রতিবাদ করবেন, আর যদি তাও না থাকে তাহলে মন থেকে হলেও তাদের ঘৃণা করবেন।
মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরী বলেন, হেগের আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতে ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধান ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সারাদেশের প্রত্যেক মুমিন নরনারীকে ইসরালী সকল পণ্য বর্জন ও ইসলামী দেশসমূহের সরকারকে ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহবান জানান।