নিউজগার্ডেন ডেস্ক: সমাজের উন্নয়নে, মানবতার কল্যাণে নিবেদিত হওয়ার এমন মানুষদের দেখা যায় যাঁরা আড়ালে থেকে এসব নিঃস্বার্থ কাজে অবদান রাখে। তাঁদের মানবতার হাত বেশ সম্প্রসারিত ও মনের গভীরতা এতোটা বিশাল যে তাঁরা সব সময় মানুষের উপকারে এগিয়ে আসতে অপেক্ষার প্রহর গুনেন।প্রতিনিয়ত এসব মানুষ নিঃস্বার্থ মনোভাব নিয়ে সমাজ, মানবতা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজে ছুটে আসেন। সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার তীব্র আকাঙ্খা যাঁদের নিত্যদিনের সঙ্গী। এমন একজন নিভৃতচারী দানবীর হলেন মোহাম্মদ নুরুল আমিন। যিনি অত্যন্ত আন্তরিক ও নিঃস্বার্থভাবে সমাজের উন্নয়নে, মানুষের কল্যাণে এবং মানবতার ডাকে সক্রিয়ভাবে সাড়া দিয়ে থাকেন।
মোহাম্মদ নুরুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে থাকলেও দেশের প্রতি তাঁর প্রেম এবং মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা সামান্য পরিমাণও কমেনি। যার ফলে তিনি প্রতিনিয়ত আড়ালে থেকে নীরবে মানুষের কল্যাণে নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর প্রশংসনীয় কাজ এতোদিন প্রচারের অন্তরালে থাকলেও মানুষের মুখে মুখে তা ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি এখন মানুষের কাছে পরম ভালোবাসার পাত্র হিসেবে মানুষের মনের জায়গায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নীরব নিঃস্বার্থ দানবীর এর খেতাব প্রাপ্ত হয়েছে।
তাঁর ঘনিষ্ঠ একজন আত্মীয়ের সূত্র অনুযায়ী তিনি প্রতিদিন কোনো না কোনোভাবে মানুষকে সহযোগিতা করে থাকেন। তাছাড়া ধর্মীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অগণিত মানবিক কাজে অবদান রাখা সামাজিক প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকেন। জানা মতে, তিনি মানবিক ব্যক্তিত্ব শওকত ইসলামের মাধ্যমে বরিশাল বিদ্যাশ্রমে বড় অংকের নগদ আর্থিক অনুদান প্রদান করেছেন।পঙ্গু হয়ে যাওয়া অনেক মানুষের চলাচলের জন্য হুইলচেয়ারে ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
তাঁর নিজ গ্রামে তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং এলাকার দুঃস্থ অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। এলাকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান চাড়ালিয়াহাট এশা আতুল মাদরাসা ও আমতলী আজিজিয়া মাদরাসার জন্য এক লক্ষ টাকা করে মোট দুই লক্ষ টাকা, স্থানীয় নোয়াবাড়ী মডেল মসজিদে নির্মাণের কাজে দেড় লক্ষ টাকা এবং তাঁর এলাকার মসজিদ সংস্কার কাজে তিন লক্ষ অনুদান হিসেবে প্রদান করেন।তাছাড়া এলাকার অসুস্থ গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে তিনি খুবই আন্তরিক। এমন কাজে তাঁর মানবিক আচরণ প্রশংসাযোগ্য ও ব্যাপক সমাদৃত। তাঁর নিজ গ্রামের পাশ্ববর্তী এলাকার বিধবা মহিলার উন্নত চিকিৎসার কাজে তিনি বড় ধরনের সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে এসেছেন। নিজ এলাকার গরীব, নিঃস্ব ও অসুস্থ মানুষের আশ্রয়স্থল হলেন তিনি। এলাকার অনেক অসহায় দুঃস্থ পরিবারের তিনি ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং সম্প্রতি তাঁর এলাকার একজন জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য এক লক্ষ টাকার অনুদান দিয়েছেন। তাছাড়া তিনি ছুটির সময় দেশে অবস্থানকালে এলাকার (মাইজভান্ডার) সকল শ্রেণির মানুষের উপস্থিতি সামাজিক অনুষ্ঠানে (মেজবান) আয়োজন করে মানুষদের আপ্যায়িত করেন। তিনি মন উজাড় করে খোলা হাতে সমাজের কল্যাণে ও মানবতার উন্নয়নে আর্থিক সহযোগিতার কাজে অগ্রসর।
এমন মহতি কার্যক্রমের বিষয়ে তাঁর ফুফাত ভাই অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী রুহুল আহমেদ বলেন, আমার মামাত ভাই একজন নিভৃতচারী দানবীর। তিনি সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করেন। তিনি এসব বিষয় কখনো জনসম্মুখে এনে নিজেকে প্রকাশ করেননি। আড়ালে থেকে মানুষের কাজে সক্রিয়ভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি আমাদের কাছে মানবতার অগ্রনায়ক হিসেবে পরিচিত এবং সম্মানিত ব্যক্তিত্ব।তিনি তাঁর এমন সমাজ উন্নয়নমূলক এবং মানবিক কাজের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন।
মোহাম্মদ নুরুল আমিন ফটিকছড়ি নানুপুর ইউনিয়নে অবস্থিত মাইজভান্ডার (আমতলী) ইঞ্জিনিয়ার বাড়ীর সম্ভান্ত্র মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করা মরহুম ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল হক এর সুযোগ্য সন্তান। তিনি ঐতিহ্যবাহী নাজিরহাট কলেজে পড়াশোনা শেষ করে আমেরিকায় পাড়ি জমান। তিনি আমেরিকার বিখ্যাত হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে কর্মরত থাকলেও বর্তমানে তিনি তাঁর নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। স্বপরিবারে আমেরিকার বসবাসরত তাঁর স্ত্রী নাসিমা আক্তার নাজিরহাট কলেজে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বর্তমানে সেখানকার বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান ব্লো-ফার্মাসিওটিকাল কোম্পানিতে ল্যাবরেটরি অ্যাসোসিয়েট (মান নিয়ন্ত্রণ) হিসেবে কর্মরত আছেন। মেয়ে আমেনা নুসরাত (অর্পা) কেমব্রিজ সিটি থেকে সম্মানজনক স্কলারশিপ অর্জন করেন এবং বর্তমানে বিখ্যাত বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নায়ুবিজ্ঞান বিভাগে শতভাগ বৃত্তিতে অধ্যয়নরত। তাঁর বড় ভাই মরহুম মোহাম্মদ ইউছুফ বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটারিস্ট এবং তাঁর মেঝ ভাই মোহাম্মদ ইসহাক বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন কমান্ডার।