নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আসন ভাগাভাগির এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নিজেরা নিজেরা খুন করছে, নাশকতা করছে, মানুষ মারছে, আর এটা চাপিয়ে দিচ্ছে বিএনপির উপর। যারা দীর্ঘদিন ধরে মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করছে তাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। তারা জোর করে অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। তাই একতরফা নির্বাচনের ফলাফল ভোটের আগেই ঠিক করে রেখেছে। ১৮ সালে কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া ভোট ডাকাতরা ২৪ সালে এসে কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। তবে অবৈধ সরকার যাতে জোর করে ক্ষমতায় থাকতে না পারে তাদের বিরুদ্ধে জণগণের শান্তিপূর্ণ অধিকার প্রয়োগ করতে হবে, কেউ ভোট দিতে যাবেন না, অবৈধ নির্বাচন মানবেন না। শুধু শুধু রাষ্ট্রের কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করা ছাড়া আর কিছু নেই। তারা দেশের জনগণকে একদিকে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে। একনেত্রীর নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। ডামি নির্বাচন ইতিমধ্যেই ড্যাম হয়ে গেছে। এই নির্বাচন দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগের সমর্থকরাও ভোট দিতে যাবে না।
তিনি মঙ্গলবার (২ জানুয়ারী) দুপুরে বকসির হাট ও টেরি বাজার এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে কোতোয়ালি থানা বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে আসন ভাগাভাগির একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান।
এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকার জানে তাদের নৈতিক পরাজয় এরই মধ্যে হয়েছে। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনে আসতে তাদের ভয় দেখেই তারা পাতানো নির্বাচন করছে। তারা উন্নয়ন আর অগ্রগতির কথা বলে। এত উন্নয়ন করেও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় কেন? তারা পরাজয় নিশ্চিত জেনেই সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায়। তারা দেশে আবার বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাদের এই দ্বিতীয় বাকশাল হতে দেয়া হবে না। মুক্তিযুদ্ধের পর একদলীয় শাসন ব্যবস্থা যেমন সফল হয়নি। তেমনি বর্তমান দ্বিতীয় বাকশাল শাসন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার অপচেষ্টাও সফল হবে না। আওয়ামী লীগ দেশের ওপর যে অবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে, এটা অস্বাভাবিক, এভাবে চলতে পারে না। অবশ্যই পরিবর্তন হবে।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, মো. কামরুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, বকসির হাট ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম মুফিজ উল্লাহ, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল বশর, জসিম মিয়া, আবু ফয়েজ, বিএনপি নেতা দিদারুল আলম, নকিব উদ্দীন ভূইয়া, আনোয়ার হোসেন, আবুল কালাম, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, মো. সালাউদ্দিন, বিএনপি নেতা মো. রিয়াদ, আবু বক্কর প্রমূখ।
তাছাড়া মঙ্গলবার সকালে রিয়াজুদ্দিন বাজার ও চৈতন্য গলি কাঁচা বাজার এলাকায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের নেতৃত্বে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এতে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ৭ জানুয়ারী জবরদস্তি করে জনগণকে ধমক দিয়ে আওয়ামী লীগ একটি অবৈধ একতরফা নির্বাচন করতে যাচ্ছে। তারা গণতন্ত্রকে আগেই হত্যা করেছে, এখন ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে দাফন করতে চায়। তারা একটা ‘আমরা আর মামুরা’ নির্বাচন করতে ছাচ্ছে। এ নির্বাচনের বিরুদ্ধে গোটা দেশ, গোটা জাতি। গত ১৫ বছর ধরে দুঃশাসনের হাতে বাংলাদেশের জনগণ জিম্মি। মানুষের মানবাধিকার আজ ধ্বংসের পথে। অবৈধ সরকারের পাতানো এই নির্বাচনে প্রার্থী নিজেই বলেন, আমি ভারতের প্রার্থী। ভাগ বাটোয়ারার এই নির্বাচন দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, মো. শাহ আলম, আলকরন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম মিয়া, বাগমনিরাম ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ফয়েজ, কোতোয়ালি থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আবুল কালাম, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সেলিম খান, তানভীর মল্লিক, কোষাধ্যক্ষ নুর হোসেন উজ্জ্বল, সহ সম্পাদক মো. বেলাল, বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন, মো. রিয়াদ, জানে আলম বাচা, যুবদল নেতা মাঈনুদ্দীন খান রাজিব, মাঈন উদ্দিন, এমরান হোসেন প্রমূখ।
এছাড়া মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আহমেদ উল আলম চৌধুরী রাসেল, মহানগর যুবদলের ক্রীড়া সম্পাদক জসিম উদ্দিন সাগর, সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. আলমগীর, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহেদ হোসেন জোসির নেতৃত্বে বদরপাতি এলাকায়, ইপিজেড থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে মাদ্রাজী শাহ রোড, নেভী কলোনী রোড এলাকায়, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপনের নেতৃত্বে মতিঝর্না, টাইগারপাস ও বাঘঘোনা এলাকায়, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমন, পাহাড়তলী থানা যুবদলের সদস্য সচিব শওকত খাঁন রাজু ও যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন ফরহাদের নেতৃত্বে পাহাড়তলী স্টেশন রোড, ডেবারপাড় ও লেক ভিউ আবাসিক এলাকায়, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমন, বন্দর থানা যুবদলের সি. যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইয়াছিন ও হালিশহর থানা যুবদলের সি. যুগ্ম আহবায়ক সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দামের নেতৃত্বে নিমতলা ও হালিশহর থানার রঙ্গীপাড়া বাজার এলাকায়, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের আহবায়ক মো. আলী সাকি, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সেলিম উদ্দিন রাসেল, সহ সম্পাদক হামিদুল হক চৌধুরী ও থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সরোয়ার উদ্দিন সেলিমের নেতৃত্বে হামজার বাগ এলাকায়, চবি ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে কাজীর দেউড়ী এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।