নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রের ভোটারদের বাঁধা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদের কয়েকটি কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। তিনি আজ ৮ জানুয়ারি (সোমবার) বেলা দেড়টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ জানান।
তিনি আরো জানান উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকা প্রার্থীর লোকজন আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। এছাড়া প্রথমদিকে ভোটারদের উপস্থিতি বেশি ছিল। পরে ভোটারদের আসাতে বাধা দেওয়ায় ধীরে ধীরে ভোটারদের উপস্থিতি কমে যায়। একইসঙ্গে কেন্দ্রে প্রকাশ্যে নৌকায় সীল মারতে বাধ্য করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি জানান, নৌকা প্রার্থীর লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের লোকদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। প্রকাশ্যে নৌকায় সীল মারার জন্য ভোটারদের বাধ্য করে। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা করা হয়েছে। ঈগল প্রতীকের এজেন্টকে একটি বাড়িতে বন্দি করে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশ নিয়ে ওই এজেন্টকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন বলে জানান। সকালে আমার সমর্থক কমল দে নামে একজনের উপর নৌকা সমর্থকরা কর্তৃক হামলা করেছে।
এ ব্যাপারে তিনি ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে বারবার অভিযোগ করেছেন। কিন্তু তারা কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেননি। সংবাদ সম্মেলনে গিয়াস উদ্দিন নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান রুহেলের লোকজনের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্র দখলের পাশাপাশি ভোটে প্রভাব বিস্তার, ঈগল প্রতীকের এজেন্টকে মারপিট, কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, ‘আমার ২৭ এজেন্টকে মারধর করা হয়েছে। অধিকাংশ কেন্দ্রের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। ভোটার ও কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। ৭৩টি কেন্দ্র দখল করে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ওরা তাদের পক্ষে ১০ শতাংশ ভোট পড়বে-এমনটা নিশ্চিত হয়ে কেন্দ্র দখলে বেপরোয়া হয়ে যায়।
তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যেই তারা এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। তো সেই নির্বাচন নিয়ে বেশিদূর যাওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার ছিল না। আমি ভোট বর্জন করতাম। কিন্তু আমি আমার ভোটারদের কথা চিন্তা করে আমার ধৈর্য শক্তিকে বিসর্জন দিয়ে নির্বাচনের শেষ অবধি ছিলাম। আমি প্রশাসনের উদাসীনতা দেখে খুবই হতাশ। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের নির্বাচন চাননি। চর দখলের মতো ভোট দখল করে এমপি নির্বাচিত হয়ে জনগণের জন্য রুহেল কিছুই করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনারের প্রতি আমার আকুল আবেদন, এই নির্বাচন আপনি বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দিন। বলেন গিয়াস। গিয়াসের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী নিয়াজ মোরশেদ এলিট গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন, ভোটারবিহীন নির্বাচন, অসম্মান আঘাতের নির্বাচন, আর সম্মানিত ভোটারদের বেইজ্জত করা, ভোট দিতে বাধা দেওয়ার এই নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন যেন দেওয়া হয়। তাহলে মিরসরাইয়ের জনগণের কাছে শেখ হাসিনা সরকারের ভাবমূর্তি অনেক বেড়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গিয়াস উদ্দিনের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা নিয়াজ মোরশেদ এলিট। আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা, নির্বাচনী উপদেষ্টা নুরুল আলম প্রমুখ।