নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম শাখা চট্টগ্রাম সহ সারাদেশের জনগণকে এক তরফা ও প্রহসনের নির্বাচনকে নীরব বিপ্লবের মাধ্যমে প্রত্যাখান করায় অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত না হয়ে এদেশের জনগণ এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। প্রহসনের নির্বাচন সম্পর্কে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সমূহ বলেছে, ভোট নিয়ে মানুষের মধ্যে ছিল না কোনো উৎসাহ উদ্দীপনা। ছিল এটি এক তরফা সাজানো নির্বাচন। বেশিরভাগ মানুষ ভোট দানে বিরত ছিলেন। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার ইতিপূর্বেই ৪০% ভোট কাস্ট করার জন্যে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সভায় নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী অনুগত সরকারের সিইসি জাল ভোটসহ ২৮% ভোট পরার পরও ৪১% ভোট পড়েছে বলে যে বক্তব্য দিয়েছে তাও হাস্যকর। সার্বিক ক্ষেত্রে এই নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫ থেকে ১০ ভাগ।
বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণ ভোট দান থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে যেই বিপ্লব ঘটিয়েছে তা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সব বিরোধী দল এই অবৈধ নির্বাচনকে প্রত্যাখান করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে তাদের মুখপত্র ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে।
এই নির্বাচন ভারত ও বাংলাদেশের অবৈধ সরকারের মঞ্চায়িত ও জি বাংলা প্রযোজিত এই নাটক বানরের পিঠা ভাগাভাগির নির্বাচন। জনগণ বিমুখ মঞ্চায়িত এই নির্বাচন প্রত্যাখান করায় আমরা চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের বীর জনগণকে অভিনন্দন জানাই। কলঙ্কময় প্রত্যাখিত এই নির্বাচন ইতিহাসের পাতায় কালো অধ্যায় হিসেবে রচিত থাকবে।
বিবৃতিদাতারা হলেন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক নসরুল কাদির চৌধুরী, এ্যাব এর সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিম, ড্যাব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি ডা. জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহ নেওয়াজ, এ্যাব চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. তমিজ উদ্দিন মানিক প্রমুখ।