নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, একতরফা ও প্রতারণার নির্বাচন করে গোটা জাতিকে ধোকা দিয়েছে সরকার। আমরা এই নির্বাচনকে বর্জনের ডাক দিযয়েছিলাম। জনগণ রুখে দাঁড়িযয়েছে। ভোট নিয়ে মানুষের মধ্যে কোনো উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল না। ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত না হয়ে এদেশের জনগণ এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এটি ছিল একতরফা সাজানো নির্বাচন। বেশিরভাগ মানুষ ভোট দানে বিরত ছিলেন। চট্টগ্রামবাসী ভোট বর্জন করে সরকারকে লালকার্ড দেখিযয়ে দিয়েছেন। প্রহসনের নির্বাচনকে জনগণ নীরব বিপ্লবের মাধ্যমে প্রত্যাখান করেছে। কলঙ্কময় এই নির্বাচন ইতিহাসের পাতায় কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। জনগণ কর্তৃত্ববাদী শাসন বারবার মানবে না।
তিনি বুধবার (১০ জানুয়ারী) দুপুরে বকসির হাট ও টেরি বাজার এলাকায় বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে ডামি নির্বাচন বর্জন করায় জণগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে কোতোয়ালি থানা বিএনপির লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিযয়ে এসময় পথচারী, রিকশাচালক ও সাধারণ মানুষের হাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিযয়ে লিফলেট বিতরণ করেন।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আন্দোলনরত বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর দাবিকে অগ্রাহ্য করে তামাশার নির্বাচন করেছে সরকার। এই নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। জালিয়াতির নির্বাচনে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সম্পূর্ণরূপে অপমান করা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেযয়ে কম ভোট পড়া নির্বাচনের মধ্যে অন্যতম হল এই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জনগণ ভোট দান থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে যেই বিপ্লব ঘটিয়েছে তা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। দেশের সব বিরোধী দল এই অবৈধ নির্বাচনকে প্রত্যাখান করেছে।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য মাহবুব আলম, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, মো. কামরুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, চান্দগাঁও থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, মহানগর বিএনপি নেতা দিদারুল আলম, নকিব উদ্দীন ভূইয়া, ইউছুপ শিকদার, ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, বকসির হাট ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম মুফিজ উল্লাহ, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল বশর, সাদেকুর রহমান রিপন, আবু ফযয়েজ, বিএনপি নেতা আবুল কালাম, আবু নাছের সাজ্জাদ, মো. ওয়াসিম, আবু বক্কর, জামাল উদ্দিন, মহানগর যুবদলের সহ সম্পাদক ইদ্রিস আলম, মো. সালাউদ্দিন, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী মিন্টু, এম এ জলিল, সাবেক ছাত্রদল নেতা শেখ রাসেল, মাঈনুদ্দীন খান রাজিব, এন মোহাম্মদ রিমন।
এছাড়া কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি মিয়া হারুন, সহ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাচা, প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুযয়েল, সহ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাবু, আবু সৈয়দ কালু, বাযয়েজিদ থানা যুবদলের সদস্য সচিব মঞ্জুর আলম মঞ্জু, ডবলমুরিং থানা যুবদলের সদস্য সচিব তাজ উদ্দিন তাজু, সি. যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল আলম রুবেল ও পাঁচলাইশ ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক মো. হাসানের নেতৃত্বে আগ্রাবাদ ও আতুরার ডিপো এলাকায় যুবদলের লিফলেট বিতরণ ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন খানের নেতৃত্বে মুরাদপুর ও বিবির হাট এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়।