নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বর্তমান গণবিরোধী ডামি সরকার জনগণকে শক্র পক্ষ বলে মনে করে। জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয়না বলেই ভোটারবিহীন সরকার চট্টগ্রামবাসীর মৌলিক অধিকারকে উপেক্ষা করছে। সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনার কারণে এমনিতেই জনগণ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। এর উপর চট্টগ্রামে বেশ কিছুদিন ধরে গ্যাসের জন্য হাহাকার চলছে। গ্যাসের অভাবে শিল্প কারখানা, সিএনজি চালিত গাড়ী ও বাসাবাড়ির রান্নার চুলা জ্বলছে না। মানুষ না খেয়ে থাকছে। কিন্তু চট্টগ্রামবাসীর গ্যাসের হাহাকার সরকারের কানে পৌছায় না। দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতির কারনে বর্তমানে বাজারে কোনো কিছু কেনার জো নেই। প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। অথচ শহীদ জিয়া রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে শিল্প বিপ্লব ঘটিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছিলেন। তিনি কৃষকের আইলে আইলে মাইলের পর মাইল হেটে কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। শহীদ জিয়া দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করেছিলেন আর বর্তমান সরকার তা ধ্বংস করেছে। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীই বলছেন, নির্বাচনের পর দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। আওয়ামী লীগের আমলে ৭৪ সালে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। এখন ২৪ সালেও দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।
তিনি শনিবার (২০ জানুয়ারী) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে বিএনপির প্রতিষ্টাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালিন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শম জামাল উদ্দিন।
ডা. শাহাদাত বলেন, আওয়ামী সরকার ঐতিহ্যগতভাবে হিংসার চর্চা করে। এরা আইনের শাসনকে হত্যা করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। সেই কারণেই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে তারা দ্বিধা করে না। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাগবে এগিয়ে আসে না।
সভায় বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় শ্রমিকদলের সহ সভাপতি শাহেনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, সি. যুগ্ম সম্পাদক আবদুল বাতেন, উত্তর জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক ডা. মহসিন খান তরুণ, মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত মো. ইদ্রিস আলী, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম ফরাজি, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মজুমদার, প্রচার সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকী, দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, যুব সম্পাদক হাসিবুর রহমান বিপ্লব, মহিলা সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস বিথী, নাসিরাবাদ শিল্পাঞ্চল শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, শ্রমিকদল নেতা আবু সিদ্দিক, মো. হান্নান, মো. হাসান, রফিক উদ্দিন জসিম, আবদুল নবী, নুরুল আলম সুজন, আফতাব আহমেদ, আবদুল খালেক প্রমূখ।