নিউজগার্ডেন ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট এম এ হাশেম রাজু বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আজ গুটিকয়েক মাফিয়া লুটেরা কালো ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। সিন্ডিকেট তৈরি করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে মানুষ আজ দিশেহারা। মহান জাতীয় সংসদ অধিবেশন শুরুর সাথে সাথে গ্যাসর প্রি-পেইড মিটার ১০০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সহ সকল সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে মূল্য বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে। এভাবে বাংলাদেশের জনগণকে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিবেন না। বাংলাদেশের জনগণকে জিম্মি করা কালো বাজারি ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এভাবে যদি দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি দিনের পর দিন বৃদ্ধি চলতে থাকে তাহলে আমরা সে সমস্ত সিন্ডিকেটধারী কালো মানুষগুলোর তালিকা তৈরি করে তাদের বাসা বাড়ি ও অফিস ঘেরাও করবো। তিনি আজ ৩১ জানুয়ারী (বুধবার) বিকেল ৩ টায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগরের উদ্যোগে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এবং সিন্ডিকেট ও মজুতদারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগরের সমন্বয়কারী নুরুল আবসার তৌহিদের সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তা আবু মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী, আইএইচআরসি চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়কারী মো. আমির হোসেন খান, চট্টগ্রাম বিভাগের আহ্বায়ক তাহেরা আক্তার শারমিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো: মঈনুদ্দীন আহমদ।
উত্তর জেলার সদস্য সচিব মো: আওরঙ্গজেব খান সম্রাটের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলার সিনিয়র সদস্য পাশা আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী নুর মোহাম্মদ দোহাজারী, আয়মান ওসমান, বিএলএফ-এর মহানগর সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ মিয়া, উত্তর জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান বিন ইউসুফ, সিনিয়র যুগ্ম সচিব মো. ইউনুস তালুকদার, মিসেস তাহেরা মহরম, রবিউল হোসেন সম্রাট, মো: মিজানুর রহমান, শামসুন্নাহার শারমিন সরকার, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. মনসুর, মানবাধিকার নেত্রী জান্নাতুল আরেফ মিথিলা, মনি আক্তার, নাজমা চৌধুরী প্রমুখ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে কবি নিজামী বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষ অনেক কষ্ঠে জীবনযাপন করছে। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশে মানুষ মানচিত্র খেয়ে জীবন যাপন করবে। তাই জনদুর্ভোগ স্বাধীন বাংলাদেশের অংশ হতে পারে না। সংহতি প্রকাশ করে প্রবীণ রাজনীতিবিদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে আজকের পর থেকে কোন এলাকায় যাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি করতে না পারে প্রশাসনের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আমির হোসেন খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষার জন্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কোন বিকল্প নেই। চট্টগ্রাম বিভাগের আহ্বায়ক তাহেরা আক্তার শারমিন বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা ব্যবস্থা না নিলে মজুতদারি ব্যবসায়ীগণ জনগণের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলবে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম বলেন, সিন্ডকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে বাংলাদেশের জনগণকে আরও বির্পযস্ত করার যে পরিকল্পনা লুটেরা ব্যবসায়ীগণ নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করে জনদুর্ভোগ কমানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মানববন্ধন ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মনি আক্তার, নির্ঝর সাহা, রফিকুল ইসলাম বাচা, সোহেল চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর, আমান উল্লাহ আমান, মো. রফিক মেম্বার, মো. ইকবাল, রায়হান আলম, আব্দুল আওয়াল, আবু নাছের, হেলাল উদ্দিন, আরশে আজিম, আবু বক্কর হৃদয় প্রমুখ।