
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম নগরীর বসুধা বিল্ডার্সের অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম চালিয়েছে চসিক। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে এ অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উচ্ছেদ কার্যক্রমে নীচ তলায় সিডিএ’র নকশা বহির্ভূত ভবনের পাশাপাশি পাকা-আধাপাকা বিভিন্ন ভবন, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ অবৈধ স্থাপনাগুলো করেছিল এসি শাহ আলম। এ অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে সে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে। এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে দোকানীরা মিছিল, সমাবেশ, মানববন্ধনসহ নানা আন্দোলন করেছে বসুধা রেলওয়ে মেন্স সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতি। এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় নগরবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তবে পুনরায় যেন একই স্থাপনা গড়ে না ওঠে সেদিকে সবার খেয়াল রাখার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এসি শাহ আলমের দলিল ভুয়া প্রমাণ হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেন। ভুয়া দলিল করে অবৈধ নির্মাণ করেছিলেন এসি শাহ আলম।
সূত্র জানায়, বিআরটিসি বাস স্ট্যান্ডে বিপরীতে বসুধার সামনে এসি শাহ আলম দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ স্থাপনা তুলে দোকান ঘর করে আসছিল। তার এসব অবৈধ স্থাপনা অপসারনে নোটিশ প্রদান করার পরও সে অপসারন না করায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে চসিক।
নিউমার্কেট এলাকার সড়ক ও ফুটপাত হকারমুক্ত করছে চসিক। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে। সকাল ১০টা থেকে অভিযান শুরু হয়। এ সময় সিএমপির ২০০ পুলিশ, ৩০ জন র্যাব সদস্য, ২০০ শ্রমিক, বিপুল সংখ্যক চসিকের নিরাপত্তাকর্মী, আনসার অংশ নেন। অভিযানে সড়ক ও ফুটপাতে হকারদের বাঁশ, চৌকি, খাট, টেবিল জব্দ করে চসিকের গাড়িতে তোলা হয়।
চসিকের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম জানান, সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অভিযানে সহায়তা করছেন। উচ্ছেদের পর এলাকাটি নজরদারিতে রাখা হবে, যাতে ফের দখল না হয়।
চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার সমিতির সভাপতি নুরুল আলম লেদু জানান, স্বাধীনতার পর থেকে ফুটপাতে ব্যবসা করে আসছি। আজ ৫-৬ হাজার হকারের রুটি রুজিতে আঘাত এসেছে। পুনর্বাসনের দাবি আমাদের পক্ষ থেকে সবসময় ছিল। বেকারত্ব নিবারণে হকাররা ফুটপাতে শৃঙ্খলার সঙ্গে ব্যবসা করছিল। মেয়র বলেছিলেন- হকারদের পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করবেন না। আজ কথা রাখা হয়নি। রমজান আসছে, এ সময় এটা করা হলো। এটা কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। অনতিবিলম্বে হকারদের সঙ্গে বসে পুনর্বাসনের দাবি জানায়। নগরের স্টেশন রোডে সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে চসিক।
চসিক মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, অবৈধভাবে দোকানপাট, অননুমোদিত স্থাপনা গড়ে পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তাই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বসুধা বিল্ডার্সের দোকান নিতে এসে হয়রানির শিকার হন অনেক গ্রাহক। ‘২০০৯ সালে দোকান বুঝিয়ে দেয়ার কথা বললেও এখনো পর্যন্ত বসুধা বিল্ডার্স দোকান বুঝে না দেওয়ায় অনেকে হতাশার মধ্যে আছে। কিন্তু গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তা দুঃখজনক। গ্রাহক হয়রানি বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।