নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন, দেশের সীমান্ত অঞ্চলে একতরফাভাবে বাংলাদেশের মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। কক্সবাজারের টেকনাফ এবং বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মুহুর্মুহু গুলি হচ্ছে। বাংলাদেশ সীমান্তে মর্টারের শেল এসে পড়ছে। ইতিমধ্যে দুইজন মারা গেছে। বাংলাদেশের কৃষকরা সীমান্তে কাজ করতে পারছে না। তারা আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। আর বাংলাদেশ সরকার হাত গুটিয়ে বসে আছে। তারা নীরব। একটা প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। জনসমর্থনহীন সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। নতজানু সরকার সীমান্তে মানুষ হত্যার প্রতিবাদও করতে পারছে না। অনির্বাচিত বলেই সাহস করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে না। অথচ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা ছিল সুরক্ষিত এবং জনগণ ছিল নিরাপদ।
তিনি শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) বাদে জুমা কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে ভারত বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার সীমান্তে নিহত সকল বাংলাদেশীর আত্মার মাগফেরাত কামনা ও বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলা বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন।
দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু, শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে নিহত সকল বাংলাদেশীর মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকারের ব্যর্থতার কারণে বর্তমানে দেশে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাজারদরের অবস্থা ভয়াবহ। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্ব গতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। প্রতারণার ডামি ভোট বর্জনের কারণে জনগণকে শায়েস্তা করতেই দেশের মানুষকে দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিয়েছে সরকার। ভোট ডাকাত আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে জনগণের কোন মূল্য নেই। তাই তারা জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করছে না। তারপরও বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের একদলীয় পাতানো নির্বাচনকে মেনে নেয়নি। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত বাকশাল সরকারের বৈধতা পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। জনগণ এই নির্বাচন, এই অবৈধ সংসদ কখনও মেনে নেবে না। জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই ডামি সরকারের পতন ঘটাবে।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, মিথ্যা বানোয়াট একটি মামলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগ জানে, বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তার কাছে তাদের অন্যায় অত্যাচার টিকবে না। কারণ জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তাকে তারা ভয় পায়। ইতিমধ্যেই আওয়ামীলীগের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। তাই তারা সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পেয়ে পাতানো নির্বাচন করেছে।
এতে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, উত্তর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, আলহাজ সালাউদ্দিন, নুরুল আমিন, নূর মোহাম্মদ, ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেন, কাজী সালাউদ্দিন, আহবায়ক কমিটির সদস্য হাররু জামান, অধ্যাপক আজম খান, জসিম উদ্দিন সিকদার, আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম ইউসুফ, এড. এম এ তাহের, কর্নেল আজিমুল্লাহ বাহার, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, মো. সেলিম চেয়ারম্যান, আবু আহমেদ হাসনাত, আবু জাফর চৌধুরী, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী মহিউদ্দিন, আজমত আলী বাহাদুর, জাহাঙ্গীর হোসেন, কবির চেয়ারম্যান, গিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান, রিপন তালুকদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সরোয়ার উদ্দিন সেলিম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, তাতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, জেলা তাতীদলের সভাপতি মো. সিদ্দিক, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাসির উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ফজল বারেক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আকবর আলি, মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি, জাসাসের সদস্য সচিব মো. আশরাফুল্লাহ প্রমূখ।