নিউজগার্ডেন ডেস্ক: সম্প্রতি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরীর নিউ মার্কেট, ষ্টেশন রোড় ও ফলমন্ডি এলাকায় পুলিশী হামলা চালিয়ে হকার উচ্ছেদ ও হকারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে হয়রানি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
নেতৃবৃন্দ হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে পবিত্র রমজান মাসের আগে জোর পূর্বক উচ্ছেদ করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) গণমাধ্যমে পাটানো এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, হাজার হাজার হকারকে পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এক অমানবিক কাজ করছে। হকাররাও মানুষ, তাদের ও তাদের পরিবারকে বাঁচতে দিতে হবে। কোন হকারই ফুটপাতে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে হকারী করতে চায় না। পরিবার পরিজনের ভরণপোষণের জন্যই নিরুপায় হয়ে ফুটপাতে হকারী করে থাকেন। কিছুদিন যাবৎ তারা হকারী করতে না পেরে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বাসা ভাড়া, ছেলে মেয়েদের স্কুলের বেতন ও ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পারছে না। তাই হকারদের উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসন বেশি জরুরী। তা না হলে লক্ষ লক্ষ হকার বেকার হয়ে দেশের জন্য অভিশাপ হিসেবে দেখা দিবে। এজন্য হকারদের পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করতে হবে। সেই সাথে ফুটপাথে হকারদের কাছ থেকে মাস্তানদের চাঁদাবাজীও বন্ধ করার আহবান জানায়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন বিদেশি নাগরিকও বাংলাদেশে নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে ব্যবসা করার সুযোগ পায়। তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে। কিন্তু হকাররা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে কোনো ধরনের সরকারি সুবিধা পায় না। উল্টো তাদের নির্যাতন উচ্ছেদের শিকার হতে হয়। সারা বিশ্বের সব দেশেই হকার রয়েছে। এখন হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে হকারদেরকে উচ্ছেদ করে দিবেন তা হতে পারে না। উচ্ছেদ করলে তারা কী খাবে? তাই পুনর্বাসনের ব্যবস্থার আগে মানবিক কারণে ফুটপাতে হকারদের বসতে দিতে হবে। প্রকৃত হকারদের তালিকাভুক্ত করে পরিচয়পত্র দিয়ে সুরক্ষা আইন করে স্থায়ীভাবে তাদের জন্য ব্যবস্থা করতে হবে। বল প্রয়োগের মাধ্যমে উচ্ছেদ বন্ধ করে হকারদের জন্য স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পুনর্বাসন পরিকল্পনা গ্রহণ করা খুবই জরুরী।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশ প্রশাসনের ভাইদের বলবো, আপনারা হকারদের সাথে আইনানুগভাবে কথা বলুন। বেআইনি ভাবে হকারদের উপর লাঠিচার্জ এবং গুলি করবেন না। এরা অসহায় ও গরীব মানুষ। তাহলে কেনো আপনারা তাদের উপর লাঠিচার্জ করেন তাদের মালামাল নিয়ে যান। অবিলম্বে এসব অনৈতিক কাজ বন্ধ করুন।
নেতৃবৃন্দ হকারদের ওপর দমন, পীড়ন ও নির্যাতন বন্ধ করে উচ্ছেদের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় যে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে তাতে হয়রানি বন্ধ করে সেগুলো প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান।