নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সাবেক এক সংসদ সদস্য’র বিরুদ্ধে অন্যের জায়গা দখল করে নিজের নামে স্কুল প্রতিষ্ঠার অভিযোগ উঠেছে। ২০১৮ সালে উপজেলার সরল ইউনিয়নের জালিয়াঘাটায় এ স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাছাড়া মিনি স্টেডিয়াম করার নামে একই মালিকের আরেকটি জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণেরও অভিযোগ উঠেছে নানা কারণে আলোচিত সাবেক এই এমপির বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন জায়গার মালিক স্থানীয় আমিনুল ইসলাম চৌধুরী।
অভিযোগে তিনি বলেন, ‘স্কুলের জায়গার বিএস খতিয়ান নম্বর ৪৬৬। এ খতিয়ানের বিএস ১৪৫৪ নম্বর দাগের মোট জায়গার পরিমাণ ৮৮ শতক, যা মোট ২৪ জন মালিকের নামে লিপিবদ্ধ। এর মধ্যে সাবেক এমপি তাঁর দাদির ওয়ারিশ সূত্রে ৪ দশমিক ৪ শতক এবং অন্য দুই ওয়ারিশ থেকে ৩৩ দশমিক ৭ শতক জায়গার মালিক হন। সর্বসাকুল্যে, তিনি ওই জায়গার মাত্র ৩৮ শতক জায়গার মালিক। অথচ খতিয়ানের অবশিষ্ট ২১ জন ওয়ারিশের ৫০ শতক জায়গা তিনি স্কুলের নামে জবরদখল করে রেখেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্কুল নির্মাণের নামে জবরদখল করার সময় বাধা দিলে আমাকে ও আমার ভাইদের মারধর করা হয়। এমনকি আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ৬ মাস জেলও খাটান তিনি।’
আমিনুল ইসলাম চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি জেলে থাকাবস্থায় আমার জ্ঞাতিভাইদের আবারও মারধর করে পুকুর ভরাট করে ঐ সাবেক সংসদ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। শুধু তাই নয়, এর মধ্যে অন্য খতিয়ানে আমাদের মালিকানাধীন উকিল আজিজ মিয়া বাজার সংলগ্ন ৬৬৮ বিএস খতিয়ানের ২ একর ৬ শতক জায়গা মিনি স্টেডিয়াম করার নামে দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছেন, যে জমির এক শতাংশও ঐ সাবেক সংসদের মালিকানায় নেই।’
অভিযোগে তিনি আরো জানান, ‘এখানে প্রায় ৫০ শতক আমাদের পারিবারিক জায়গা। আমার চাচাতো ভাই, জ্যাঠাতো ভাই সবাই তাঁর নামে স্কুল করতে বাধা দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সে বাধা মানেননি। স্কুলের প্রতিষ্ঠাকাল ২০১৮ সালে লিখলেও স্কুল চালু হয়েছে মূলত গত বছর থেকে। আমরা স্কুলের পক্ষে। তবে তার নামে দেবো না। আমরা বঙ্গবন্ধুর নামে স্কুল করতে চাই। তাহলে আমাদের জায়গাটা আমরা স্কুলকে দান করে দেবো।’