চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নিত্যপণ্যের বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। রোজার শুরুতেই বাজারে চলছে এক ধরনের অরাজকতা। দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্য এখন এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে যে, প্রতিটি ক্ষেত্রে পঞ্চাশ শতাংশ জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। বাজারের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট তৈরি করা হয়েছে। তারা কৃত্রিমভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই। চরম দুর্নীতির প্রভাব বাজারে গিয়ে পড়ছে। লাগামহীনভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় জনগণকে তার মাশুল দিতে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ এখন না খেয়ে রোজা রাখছে।
তিনি বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ফিরিঙ্গী বাজারস্থ বিএনপি নেতা জাকির হোসেনের বাসভবনে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সেহেরী ও ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার আইনের শাসনকে হত্যা করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে এরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। সেই কারণেই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে তারা দ্বিধা করে না। এর ফলশ্রুতিতে তারা বেপরোয়াভাবে বিদ্যুৎ গ্যাস ও জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে নিম্ন আয়ের মানুষকে পিষ্ট করছে।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, প্রতি বছর গ্যাস, বিদ্যুত সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে। এই দাম বাড়ানোর পেছনে সরকার যে যুক্তি দেয় তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বর্তমানে বাজারে কোনো কিছু কেনার জো নেই। প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। সরকার দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেই এমন অমানবিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে। এ সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করছে। বাংলাদেশের রাজনীতি ও মানুষের ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করছে।
ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা হামিদ হোসাইন। উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সেলিম খান, সহ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী মিন্টু, মো. সালাউদ্দীন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি মো ওয়াসিম, কোতোয়ালী থানা যুবদলের সদস্য সচিব মো. হাসান, যুবদল নেতা আশরাফ উদ্দিন, মো. সাইফুল্লাহ, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এন মো. রিমন, কোতায়ালী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক নেতা নূরুল আলম, মো. সুমন, ছাত্রনেতা মো. শাওন, মো. আরাফাত, মো. মানিক প্রমূখ।