নিউজগার্ডেন ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আবদুল গাফফার চৌধুরীর ছেলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল মনোনীত সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিষ্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে ঢাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
নজিরবিহীন এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ আল নোমান, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) গণমাধ্যমে পাটানো এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের দিন এক নজিরবিহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হঢ। সরকার সমর্থিত আইনজীবীদের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। সরকার সমর্থিত সাদা প্যানেলের আইনজীবীদের ওপর সরকারি দলের সমর্থক স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থীর বহিরাগত যুবলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা হামলা চালায়। আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকেরা নিজেরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। কিন্তু এই ঘটনায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল মনোনীত সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিষ্টার ওসমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং নেওয়া হয়েছে রিমান্ডে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা ক্ষমতার দ্বন্দ্বে দেশের সর্বোচ্চ আদালতকেও কলুষিত করেছে। দেশের মানুষের শেষ আশ্রঢস্থল সুপ্রিম কোর্টও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের কালো থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার, পেশাজীবী সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়নসহ কোথাও সরকার আর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে দিচ্ছে না। যেখানেই ভোট, সেখানেই আওয়ামী ভোট ডাকাত, সেখানেই সন্ত্রাস। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সমিতিও তাদের কালো থাবায় বিপর্যস্ত। ক্ষমতা দখলে রাখতে আওঢামী লীগ যেসব কূটকৌশল অবলম্বন করেছে, এর সবকিছুই তারা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে প্রয়োাগ করেছে। দেশের সর্বোচ্চ আইনাঙ্গনের আইনজীবীদের মর্যাদা ধুলোয় লুটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ভোট জালিয়াতি ও নিজেদের অপকর্মের ঘটনা থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আইনজীবী উসমান চৌধুরীকে সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত মিথ্যা সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে যে মামলায় আটক করা হয়েছে, সেই মামলায় ১ নম্বর আসামি যুবলীগের চেয়ারম্যানের স্ত্রী নাহিদ সুলতানা যুথীকে এখনো গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে ভোটে যারা সেক্রেটারি নির্বাচিত হওয়ার কথা, তাঁকে নেওয়া হয়েছে জেলে। আর মামলার পর সেই রাতেই ব্যারিষ্টার ওসমান চৌধুরীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
নেতৃবৃন্দ রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ওসমান চৌধুরীসহ গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের নিঃশর্ত মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রিমান্ড বাতিলের জোর আহ্বান জানান।