নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর মাওলানা সরোয়ার কামাল আজিজী ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী দেশে মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্ম পালনের অধিকার সঙ্কুচিত করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমে আজ এক বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, মুসলমানদের জন্য মাহে রমজান অত্যন্ত পবিত্র ও ফজিলতপূর্ণ। এ মাসে মুসলমানরা কষ্ট করে রোজা রাখেন ও ইবাদত-বন্দেগি করেন। অথচ লাগামহীন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার ব্যর্থ। উল্টো মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে অনেক পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে খেজুরের মতো ধর্মীয় তাৎপর্যপূর্ণ একটি সুন্নাতি ফলকে ‘বিলাসীপণ্যে’র তালিকায় ফেলে এর ওপর মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করায় স্বল্প মুল্যের খেজুরের দাম এখন আকাশচুম্বী। রমজান মাসে রোজাদারদের ইফতারিতে খেজুর অবিচ্ছেদ্য একটি সুন্নাতি খাবার। খেজুর শুধু যে উচ্চমানের পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল তা-ই নয়, এর সঙ্গে রাসুল সা. এর আদর্শ ও মুসলমানদের ধর্মীয় তাৎপর্যও জড়িত। খেজুরকে বিলাসীপণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার নেপথ্যে ইসলামবিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে আমরা মনে করি। এই পবিত্র রমজান মাসের সম্মানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
নেজামে ইসলাম পার্টির নেতৃদ্বয় আরো বলেন, আমরা জেনেছি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলের ক্যান্টিনে মাত্র ডজনখানেক হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছাত্রের আপত্তির কারণে বিশালসংখ্যক মুসলিম ছাত্রদের শুধু রমজান মাসেই গরুর গোশত খাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। প্রথমে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়লে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেয় হল কর্তৃপক্ষ। এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার সংখ্যালঘুদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে না। ভারতে গো-মাংসকে উপলক্ষ করে হিন্দুত্ববাদীদের হাতে অহরহ মুসলিম খুন হচ্ছে। এদেশে মুসলমানরা কখনো বিধর্মীদের জোর করে গরুর মাংস খেতে বাধ্য করেছে এমন নজির নেই। কিন্তু মুসলমানদের গরুর গোশত খাওয়ার অধিকার রুদ্ধ করার দুঃসাহস দেখালে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ চুপ থাকবে না। আমাদের পূর্বপুরুষরা এ অঞ্চলে বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা ও রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে গরু কোরবানির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। সুতরাং, অতীতের সেই ইসলামবিদ্বেষী ও হিন্দুত্ববাদী জমিদারি আচরণ এদেশে চলবে না।