নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবসায়ীরা রোজাদারদের সম্মানে রোজা সংশ্লিষ্ট পণ্যের দাম কমিয়ে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশে পণ্যের দাম কমানো তো দূরের কথা, উল্টো দাম বাড়ানোর প্রতিযোগীতায় লিপ্ত রয়েছে ব্যবসায়ীরা। বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা গুলোর চরম নির্লিপ্ততার সুযোগে তারা মুনাফা শিকারে চরম বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবারের রোজার বাজার বেশি বেসামাল। গত বছরের রোজার আগের বাজারে যে পন্যমূল্য ছিল, এবার তার দ্বিগুণের বেশি।এবারের রোজায় সাধারণ মানুষকে গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ খরচ করতে হচ্ছে। কম পণ্য কিনে অল্প খেয়ে রোজা রাখছে মানুষ। দ্রব্যমূল্যের এই অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাজারে প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হয় না বলেই এই অবস্থা চলতে পারছে। দাম বাড়ানোর প্রতিযোগীতা দেখে মনে হচ্ছে দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে।
তিনি শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে পশ্চিম গোসাইলডাঙ্গা পাইল হাউজে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বন্দর থানা বিএনপির সেহেরী ও ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি অবিলম্বে নিত্য পণ্যের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার আহবান জানান।
এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
এসময় আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এই সরকার নির্বাচিত সরকার নয়, যার কারণে তাদেরকে কোথাও জবাবদিহি করতে হয় না। তাই তাদের পকেট ভারী করার জন্য সব কিছুর দাম বাড়িয়ে চলছে। সব কিছুর দাম বাড়িয়ে এই সরকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে দমনমূলক আচরণ করছে। সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির আর্থিক দায় জনগণের কাঁধে চাপাতেই সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি করেছে সরকার। দেশবাসীকে সরকারের এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বন্দর থানা বিএনপির সি. সহ সভাপতি হাসান মুরাদের সভাপতিত্বে ও সি. যুগ্ম সম্পাদক মো. হাররুনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে ইস্রাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জাহিদুল হাসান, মহানগর বিএনপি নেতা মো. সেলিম, এড. সেলিম উদ্দিন শাহীন, মো. নাছির উদ্দীন, জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, বন্দর থানা বিএনপির সহ সভাপতি খুরশিদ আলম, আসলাম মিয়া কোম্পানী, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পদক হাজী মো. জাহেদ, সহ সভাপতি দিলদার হোসেন আরজু, নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক নূর জাফর নাঈম রাহুল, থানা যুবদলের আহবায়ক শফিউল আজম, সি. যুগ্ম আহবায়ক মো. ইয়াসিন, তাঁতী দলের আহবায়ক ইলিয়াছ খান, মো. ফোরকান, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরমান শুভ, যুগ্ম আহবায়ক মো. আল জাবের, থানা ছাত্রদলের সদস সচিব দেলোয়ার হোসেন অভি, দেলোয়ার হোসেন পারভেজ প্রমূখ।