নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের গত বছরের ১৩ জুন ঘোষিত আংশিক কমিটিতে দলের দুঃসময়ের রাজপথে পরীক্ষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অনেকে স্থান পায়নি। স্থান না পাওয়ায় পরিক্ষীত কর্র্মীদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়। সাংগঠনিক কর্ম কান্ডেও স্থবিরতা দেখা দেয়। কেন্দ্রের নির্দেশনায় কমিটি গঠনের তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে জমা দেয়ার কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেতে পারে একাধিক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও জনপ্রিয় দক্ষ নেতারাও আলোচনায় রয়েছে। তাদের মধ্যে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও মহানগর যুবলীগের সংগঠক ফসিউল আলম রিয়াদ, জাবেদুল আলম সুমন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক কার্যানির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক হাবিবুর রহমান তারেক, মেজবাহ উদ্দিন মোর্শেদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক আশিকুন নবী চৌধুরী, সাইফুল আলম লিমন, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ মহিউদ্দিন বাবু, আরিফুল ইসলাম মাসুম, মোহাম্মদ সাজ্জাদ, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নোমান চৌধুরী, ওমর ফারুক, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গোলাম ছামদানি জনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল আলম জিকু, মহানগর বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আকিবুর রহমান ইমরান সহ অনেকের নাম আলোচনায় রয়েছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের কমিটিতে মহানগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মাহাবুবুল আলম সুমনকে সভাপতি এবং সাবেক আরেক যুগ্ম আহবায়ক মো. দিদারুল আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে বছরের ১৩ জুন কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল ৪০ সদস্যের এই আংশিক কমিটির অনুমোদন দেন।
কমিটিতে সহসভাপতি করা হয়েছে ১১ জনকে। তারা হলেন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও নগর যুবলীগের সাবেক সদস্য মো. নূরুল আনোয়ার, মহানগর যুবলীগের সাবেক সহ-ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বেলাল, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আরশাদ আসাফ, সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আঞ্জুমান আরা, সাবেক সদস্য হেলাল উদ্দীন আহমদ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য দেবাশীষ পাল দেবু, এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্বাহী সদস্য সুরঞ্জিত বড়ুয়া লাবু, সাবেক সদস্য আসহাব রসুল চৌধুরী জাহেদ, মহানগর যুবলীগের সাবেক সদস্য ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর যুবলীগের সাবেক সদস্য ও আইন কলেজের সাবেক জিএস শাহজাদা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সাকু, মহানগর যুবলীগের সাবেক সদস্য ও নগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল আলম মিয়া।
এ ছাড়া কমিটিতে যুগ্ম সম্পাদক করা হয়েছে চার জনকে। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে সাত জনকে। অন্যান্য পদসহ মোট ৪০টি পদে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সংগঠক ফসিউল আলম রিয়াদ বলেন, বিএনপি জামাতের নৈরাজ্যের মামলায় কারাবরণ করেছি। আগ্রাবাদ এলাকা থেকে যুবলীগের ব্যানারে হাজার হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদি কর্মসূচি পালন করেছি। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি। আমাদের মত লোকদের কমিটিতে না দেখায় কর্মীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে, অনেকে কর্মসূচিতে অংশ নিতেও অনিহা প্রকাশ করে আসছে। আশা করি বিগত দিনের কর্মকান্ডকে মূল্যায়ন করে সাংগঠনিক দক্ষ ক্লিন ইমেজের নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে আশা করি।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. দিদারুল আলম বলেন, কমিটি প্রথমে আংশিক কমিটি হওয়ায় অনেক যোগ্য দক্ষ জনপিয় ত্যাগীদের নাম বাদ পড়েছে। আমরা যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করব, বাদ পড়া যোগ্য সবাইকে কমিটিতে রেখে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য। বড় দলে অনেকে সময় সবাইকে খুশি করে কমিটি করা সম্ভব হয় না।