নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. শাহ আলমকে গত শুক্রবার বাদে জুমা লালখান বাজারের বাসা থেকে খুলশী থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।
শনিবার (৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে ডামি আওয়ামী সরকার। এই পবিত্র রমজান মাসেও তারা ভয়াল মূর্তি ধারণ করেছে। দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে কর্তৃত্ববাদ চিরস্থায়ী করার জন্য শেখ হাসিনা এক নির্দয় নীতি অবলম্বন করেছেন। ৭ জানুয়ারী ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারীদের দৌরাত্ম্য সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। হামলা, মামলা ও গ্রেফতার এবং ফরমায়েশি সাজা দিয়ে বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় মহানগর বিএনপি নেতা শাহ আলমকে জুমার নামাজ শেষে বাসায় আসার পর গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইদিন পর মানুষ ঈদের আনন্দ উৎসবে মেতে উঠবে। আর অমানবিক সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে মানুষের সংবিধানস্বীকৃত অধিকারগুলোকে হরণ করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী মধ্যযুগীয় রাজার শাসন কায়েম করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠলেও সরকার জনগণের সঙ্গে নিষ্ঠুর তামাশা করছে। সরকারের অনাচার থেকে জনদৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে নিতেই মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের হিড়িক থামছে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমানে প্রত্যেকটি কারাগার হচ্ছে শেখ হাসিনার বন্দিশালা, এখানে আইন কানুন কোনো কিছুর দরকার নেই। আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। এদেশে জঙ্গলের শাসন চলছে, বন জঙ্গলের আইনে দেশ চলছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। এই বনজঙ্গলের আইন, এই দুঃশাসন শেকড়সহ উপড়ে ফেলতে হবে। এজন্য সকলকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বিএনপি নেতা শাহ আলমকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। অবিলম্বে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে মুক্ত করা হবে।