নিউজগার্ডেন ডেস্ক: আমাদের রাজনীতি মিলের মালিক বা কোটিপতির পক্ষের রাজনীতি নয়, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সংগ্রাম করে ছিলেন। আমি তাঁরই আদর্শের অনুসারী। আমাকে আপনারা আপন করে নিতে পারেন। আমাদের রাজনীতি শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের রাজনীতি। আমি আপনাদেরই লোক, সারাজীবন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের পক্ষে রাজনীতি করেছি। আমি শোষিতের পক্ষের লোক বলে উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী এম.পি। গতকাল ৬ এপ্রিল শনিবার বিকাল ৫টায় নগরীর ব্রীজঘাট মেঘনা কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সদস্য এম. নুরুল হুদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক মো: আলাউদ্দিনের সঞ্চালনায় কার্যকরী পষিদের পরিচিতি, ইফতার মাহফিল, বস্ত্র বিতরণ ও শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী আরো বলেন, আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের সেবা করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি তাঁর কর্মী হিসেবে আপনাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে সম্ভব ও সাধ্যের মধ্যে যা যা করার সবই করবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলোয়ারা ইউসুফ এম.পি বলেন, বর্তমান সরকার শ্রমিক বান্ধব সরকার। শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থে ব্যাঘাত হয় এমন কোন পদক্ষেপ জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার নেবে না। শ্রমিকদের যে কোন ন্যায্য অধিকার আদায়ে আমি আপনাদের পাশে থাকবো।
বিশেষ অতিথির আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. ওমর ফারুক।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবুজ সিকদার বলেন, ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন, বোনাস, বকেয়া বেতন সহ পরিশোধ করার জন্য আমরা মালিক পক্ষ এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট সকলকে বারে বারে দাবি জানিয়ে আসছি। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। মালিক পক্ষের যারা এখনো বেতন বোনাস ও বকেয়া মজুরি বুঝিয়ে দেননি তাদেরকে শেষবারের মতো বুঝিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি, শ্রমিকদের যেন রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন এবং তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করুন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. নুরুল আলম মাস্টার, জাহাঙ্গীর আলম, মো. ইদ্রিস মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হোসেন, নুর ইসলাম মহাজন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাফর সুকানী, কোষাধ্যক্ষ হারুনুর রশীদ মাস্টার, সদস্য মাওলানা নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চুন্নু মাস্টার, কবির হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন, মেসার্স কাঞ্চন নেভিগেশনের কর্ণধার মো. কাঞ্চন, কেন্দ্রীয় নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সহ সভাপতি হাবিবুর রহমান মাস্টার, প্রচার সম্পাদক কবির হোসেন, সদস্য হাফেজ শাহাদাত, বাঁশখালী উপজেলা শাখার সভাপতি আজগর তালুকদার, চট্টগ্রাম জল পরিবহণ কার্গো শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নুর ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন, বিপনী বিতান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, বাকলিয়া রিকশা শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. আজগর, বিজয়মেলা পরিষদের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান স্কোয়াডের সদস্যসচিব কাজী রাজেশ ইমরান, সদস্য মো. রাকিব, বাংলাদেশ হোমিও বোর্ডের সদস্য ডা. ফজলুল হক সিদ্দিকী, সাংবাদিক হান্নান রহিম তালুকদার, আসিফ ইকবাল, স. ম. জিয়াউর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন, সরওয়ার আলম প্রমুখ।
সভায় ১০০০ জন নৌ-যান ও জাহাজী শ্রমিকদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। সভার শুরুতে খতমে কোরান আদায় করার মাধ্যমে প্রয়াত শ্রমিক নেতাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় মুনাজাত করা হয়।