নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে শ্রমিক সমাজ আজ অবহেলিত। শ্রমিকদের দুবেলা খাওয়ার সুযোগ নেই। আজকে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও বাসস্থান নেই। শ্রমিকদের বিষয়ে সরকারের বিন্দুমাত্র ইন্টারেস্ট নেই। অথচ শ্রমিকদের কারণে বাংলাদেশ ঠিকে আছে। সভ্যতা বিনির্মাণের কারিগর হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণির মানুষেরা। এই শ্রমজীবী মানুষদের অমর্যাদা অবমূল্যায়ন করে কোনো দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। ৯০ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শ্রমিক সমাজের ভূমিকা আন্দোলনকে সফল করেছিল। বর্তমান ফ্যাসিষ্ট ডামি সরকারের বিরুদ্ধে শ্রমিকদেরকে কঠিন আন্দোলনে শরিক হতে হবে।
তিনি আগামী ১ মে মহান মে দিবসে চট্টগ্রামে শ্রমিক জনতার সমাবেশ জন সমুদ্রে পরিণত করতে সকলকে প্রস্তুতি গ্রহণ করার আহ্বান জানান।
তিনি বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আগামী পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের র্যালী ও সমাবেশ এবং ২ মে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সরকার ভোটাধিকার হরণ করে দেশের মালিকানা যেমন কেড়ে নিয়েছে, তেমনি শ্রমিক, কৃষকের পেটে লাথি মেরেছে। দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে শ্রমজীবী মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে তারা। কৃষক, শ্রমিক, তাঁতি ও জেলেদের মুক্তির জন্য কাজ করছে বিএনপি।
সভাপতির বক্তব্যে এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, দেশ এখন কঠিন সময় পার করছে। বর্তমানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে শ্রমিকরাই সবচেযে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে। অথচ সরকার এ শ্রমিকদের জীবন জীবিকাকে কঠিন করে তুলেছে। তাই এর থেকে পরিত্রাণ পেতে শ্রমিকদেরকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করতে হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল উদ্দিন, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সি. সহ সভাপতি মো. ইদ্রিস মিয়া, দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, উত্তর জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোতালেব চৌধুরী, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সহ সভাপতি শাহেনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, সি. যুগ্ম সম্পাদক এম এ বাতেন, যুগ্ম সম্পাদক গাজি আইয়ুব আলী, মো. হারুন, সহ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুর রহমান মজুমদার, দপ্তর সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক এড. ইকবাল হোসেন, যুব বিষয়ক সম্পাদক হাসিবুর রহমান বিপ্লব, দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক ডা. মহসিন খান তরুণ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজী আফসার, পরিবহনের মো. হাসান, রবিউল হোসেন, সুফি মাস্টার, আব্দুল খালেক, নুরুল আলম সুজন, কালুরঘাট ভারীশিল্প অঞ্চলের অপু সিং, সিটি কর্পোরেশনের সাইফুল ইসলাম, নির্মাণ শ্রমিকের আব্দুল মান্নান, মো. দেলোয়ার, পাহাড়তলী আবুল বাশার, হালিশহরের জসিম উদ্দিন রফিক, বাকলিয়ার গোলজার হোসেন লেদু, রিক্সা শ্রমিক দলের সভাপতি আলতাফ হোসেন, আব্দুল বারেক প্রমুখ।