নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলায় ক্ষমতা কুক্ষিগত, প্রহসনের নির্বাচন!

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: নতুন সংস্কৃতিকর্মীদের সদস্যভুক্ত করে সাধারণ সভা আহ্বানের পর শিল্পকলা একাডেমির নির্বাচনের পুনঃ তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। গতকাল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে এক মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে তাঁরা এই দাবি জানান।

একুশ মেলা পরিষদ, চট্টগ্রামের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম সংগ্রাম কমিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শিল্পী শাহরিয়ার খালেদ ও একুশ মেলা পরিষদের অন্যতম সংগঠক চৌধুরী জসিমুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক রাশেদ হাসান, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মহাসিচব কামাল উদ্দিন, শিল্পী এমরান ফারুকী, সংগঠক হাবিব বিপ্লব, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমাণ্ডের সংগঠক কাজী রাজিশ ইমরান।

বক্তারা বলেন, গত ছয় বছরে চট্টগ্রামে শত শত নতুন সংস্কৃতিকর্মী চর্চার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি তাদের একাডেমির সদস্য করতে আগ্রহ দেখায়নি। তিন বছরের জন্য নির্বাচিত কমিটি ছয় বছর দায়িত্ব পালন করেছে। এ সময়ে তারা একটা সাধারণ সভা করেনি।

তাঁরা আরও বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতিবছর সাধারণ সভা এবং সভায় বাজেট প্রণয়নের কথা রয়েছে। কিন্তু একটাও সাধারণ সভা না করে তড়িগড়ি করে কোরবানি ঈদের আগে শিল্পকলা একাডেমির নতুন করে নির্বাচনের আয়োজন করেছে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে প্রহসনের এই নির্বাচন করা হচ্ছে।

বক্তারা আরও বলেন, নতুন সংস্কৃতিকর্মীদের শিল্পকলা একাডেমিতে সদস্য হওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে এই সুযোগ তাদের দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি অনেক পুরোনো সদস্যকেও সদস্য নবায়নের সুযোগ দেওয়া হয়নি। অবিলম্বে নতুন সংস্কৃতিকর্মীদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি একটা সাধারণ সভা আহ্বান করার দাবি জানাচ্ছি। সাধারণ সভায় সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনের পুনঃ তফসিল ঘোষণা করা হোক।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধা গবেষক সাংবাদিক জামশেদ উদ্দিন, বাংলা প্রচলন উদ্যোগের অন্যতম সংগঠক প্রকৌশলী সিঞ্চন ভৌমিক, সাংবাদিক রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ওসমান জাহাঙ্গীর, সাংস্কৃতিক সংগঠক শাহীনা আক্তার, আবৃত্তি শিল্পী মমতাজ দিপা মামুরা, প্রজন্ম চট্টগ্রামের সদস্য ও ছাত্রনেতা এম কাইছার উদ্দীন, মানবাধিকার কর্মী মীর বরকত, চড়াকার অভিলাশ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক কর্মী নিলয় দে ও শিশু সংগঠক মোহাম্মদ রিদুয়ান।

মন্তব্য করুন