নিউজগার্ডেন ডেস্ক: জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চ ও জাতীয় কবিতা মঞ্চের যৌথ উদ্যোগে ও নাট্যকার আয়মন ওসমানের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের জাতীয় কবি চির বিদ্রোহী, মানবতা, প্রেম ও সাম্যের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সঙ্গীত সন্ধ্যা, আবৃত্তি ও চায়ের আড্ডা গতকাল ২৫ মে (শনিবার) সন্ধ্যায় সংগঠনের কার্যালয়ে জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চের সভাপতি কামরুল হুদার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তব্য রাখেন কবিত মঞ্চের সভাপতি কবি এম এ হাশেম আকাশ ও সাধারণ সম্পাদক কবি সুলতান আহমেদ কমল, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারের সুরকার ও গীতিকার দিলীপ ভারতী, রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব দীপক কুমার পালিত, খাগড়াছড়ি শিল্পী সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম, নাট্যকার রতন চত্রবর্ত্তী, জাতীয় কবিতা মঞ্চের সংগঠক কবি সঞ্চয় কুমার দাশ, বীরমুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম সাদা, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার শিল্পকলা একাডেমি নির্বাচনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী লেখক ও গবেষক জামশেদ উদ্দীন, সাংস্কৃতিক মঞ্চের যুগ্ম সম্পাদক রোকন উদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ টেভিশনের শিল্পী চন্দনা চক্রর্ত্তী, আবৃত্তিকার ও কবি সোমা মুুৎসুর্দ্দী, সংগীত শিল্পী বেবী মজুমদার নুপুর, শিল্পী রুপনা দাশ, সংগীত শিল্পী শ্রাবন্তী শুকলা, সংগীত শিল্পী এস. কে মানিক, দপ্তর সম্পাদক আয়মান ওসমান, সংস্কৃতি কর্মী ইমতিয়াজ ফারুকী, কবি স্বর্ণা তালুকদার, কবি রতন বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক কর্মী ইলিয়াছ রিপন, সংস্কৃতিক কর্মী তানিয়া সুলতানা, আহমদ নূর মাসুদ, অনিন্দা বড়ুয়া প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অনন্য ধীমান ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক। যিনি বাংলা কাব্যে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখেন, পাশাপাশি তাঁর ভাবনা বিকশিত হয়েছিল সাহিত্যের সব শাখাতে। সঙ্গীত ভুবনেও তিনি উন্মুক্ত করেছেন একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য মন্ডিত দুয়ার।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, যার দেশপ্রেম, মানবতা ও বিদ্রোহ যুগে যুগে শোষিত বঞ্চিত মানুষের চির কন্ঠস্বর। দ্রোহ আর প্রেমের কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি তাঁর কাব্যসাধনার মাধ্যমে বাংলাকাব্যে নিনাদিত করেছেন মৃত্যুঞ্জয়ী চির-যৌবনের জয়ধ্বনি, অগ্নিবীণার সুর ঝঙ্কার। তিনি বাংলাকাব্যে বয়ে এনেছেন কালবৈশাখীর ঝড়, প্রমত্ত প্রভঞ্জনের বেসামাল আলোড়ন এবং পরাধীন জড়তাগ্রস্থ সমাজের বুকে সঞ্চারিত করেছেন তপ্ত শোণিত ধারা। তাঁর কবিতাগুলো পরাধীন দেশের অবদমিত জনগণের জন্য সঞ্জীবনী মন্ত্র। তাঁর সংগীতগুলো নিপীড়িত, শোষিত, সর্বহারার বেদনার বাণী।