ফটিকছড়ির চা শিল্প রক্ষার্থে সরকারী সহযোগীতা প্রয়োজন

এ. কে. এম. নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: বাংলাদেশের চা-শিল্প একটি বৃহত্তম উন্নয়ন প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের চাহিদা পুরনের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সম্ভব। সিলেট জেলার পর চট্টগ্রাম জেলার উপজেলা ফটিকছড়িতে ছেট বড় আঠারটি চা-বাগান রয়েছে। এই চা-বাগানগুলোর মালিক ও ব্যবস্থাপকদের সাথে আলাপে জানা যায় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার অভাবে চা-গাছগুলো রক্ষা করা বড়ই কঠিন হয়ে পড়েছে। তারা জানান বিদ্যুৎ , গ্যাস, ঔষধপত্র, ইরিগেশেন ব্যবস্থা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা পাওয়া গেলে চা-বাগানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারবে। গ্রীষ্মকাালে অতি খড়ায় পানি অভাবে অনেক চা-গাছ মারা যায়। ফলে চা উৎপাদনে মারাত্মক অসুবিধায় পড়তে হয়। রাঙ্গাপানি, পঞ্চবটি, বারমাসিয়া, হালদা ভ্যালী ও কর্ণফুলি ব্্র্যাক চা বাগানের ব্যবস্থাপকদের আলাপে তারা জানান পার্বত্য জেলার মানিকছড়ি ও উপজেলা ফটিকছড়ির সীমান্ত এলাকায় সিমুতং গ্যাস ফিল্ড থেকে ফটিকছড়ি হয়ে কেন্দ্র গ্রেডে গ্যাস সরবরাহ করা হলেও উক্ত চা-বাগানগুলোতে গ্যাস লাইন না থাকায় প্রচুর পরিমান বিদ্যুৎ খরচ বহন করতে হয়। বিভিন্ন বাগানে পাহাড়ের নিচে থলিয়া জলাশয় জমি রয়েছে এবং ঐ সব জমিনে কোন উৎপাদন করা সম্ভব নয়। ঐসব জমিগুলোতে ১০/১২ ফুট গভীরভাবে খনন করে পুকুর বা ল্যাকের ন্যায় বর্ষার পানি জমা রাখা হলে গ্রীষ্ম খড়ার মৌসুমে চা গাছে পানি সরবরাহ করে চা-গাছগুলো মরার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। ফলে চা উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের চায়ের চাহিদা মিটানো এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সম্ভব। অন্যথায় বাংলাদেশের চা উৎপাদন লোকসানি ব্যবস্থায় পরিণত হচ্ছে বলে বাগান কর্তৃপক্ষ ও ব্যবস্থাপকগণ জানান। উল্লেখিত বিষয়ে সরকারীভাবে সহযোগীতা কামনা করেন বাগান কর্তৃপক্ষ ও ব্যবস্থাপকগণ।

মন্তব্য করুন