নিউজ ডেস্ক

‘গুণীজনের স্মরণের মধ্যদিয়ে সমাজে গুণীজন তৈরী করতে হবে’

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: মননশীল গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড পলিসি স্টাডিজ-এর উদ্যোগে আজ ৩১ মে ২০২৪ (শুক্রবার) বিকেলে সেন্টারের দুজন উপদেষ্টা দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক ও ইতিহাসবিদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর প্রথম মহাপরিচালক ও সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুঈন উদ- দীন আহমদ খান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের প্রাক্তন ডীন প্রফেসর ড. শব্বির আহমদ এর স্মরণ সভা ও দু’আ মাহফিল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. বিএম মফিজুর রহমান আল- আযহারীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রফেসর, ইতিহাসবিদ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মুহিবউল্লাহ ছিদ্দিকী। সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে প্রফেসর ড. মুঈন উদ-দীন আহমদ খান এর কর্মময় জীবনের উপর প্রবন্ধ পেশ করেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম এর প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর ও সিআরপিএস এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু বকর রফীক আহমদ। এতে মুখ্য আলোচক হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ড. আ. ক. ম আবদুল কাদের বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে মরহুমের স্যারগণের জীবনের নানান দিক নিয়ে আলোচনা পেশ করেন মুহাম্মদ আমীরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশন এর সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ আবু তাহের।

প্রফেসর ড. শব্বির আহমদকে নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম এর প্রফেসর ড. আবুল কালাম মুহাম্মদ শাহেদ। স্মরণ সভায় প্রফেসর ড. শব্বির আহমদ’র ২য় পুত্র ও চট্টগ্রাম সরকারি মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ হাবীব হাসান, চুনতী সরকারি মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ প্রফেসর দীন মুহাম্মদ মানিক, প্রফেসর ড. মুঈন উদ-দীন আহমদ খান এর জামাতা ওয়েস্টার্ন মেরিন সার্ভিস এর ডিএমডি ইঞ্জিনিয়ার আরিফুর রহমান খান, তাকওয়া মডেল মাদরাসা চট্টগ্রাম সুপারিনটেনডেন্ট ও প্রফেসর ড. শব্বির আহমদ এর ভাগিনা হাফেজ আবদুল আজিজ শোয়াইব, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম এর লেকচারার সায়েদ মাহমুদুল হাসান প্রমুখ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠান শেষে মরহুমদ্বয়ের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দু’আ ও মুনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসার প্রাক্তন প্রিন্সিপাল প্রফেসর ড. মাওলানা সাইয়েদ আবু নোমান।

সভায় বক্তারা বলেন, আজকাল দেশে গুণীজনের চর্চা নেই। যারা এ সমাজ ও দেশকে নিজের জীবন উজাড় করে ভালোবেসে গেছেন, দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন তাদের অবদানকে সমহিমায় স্মরণ করতে হবে। কারণ, যে সমাজে গুণীজনের কদর নেই সেই সমাজে গুণীলোকের পয়দা হয় না। সুতরাং ভবিষ্যত প্রজন্মের মাঝে গুণীজনের কৃতিত্ব ছড়িয়ে দেয়ার মধ্যদিয়ে তাদেরকে গুণী হয়ে গড়ে ওঠার প্রেরণা যুগাতে হবে।
সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সেক্রেটারি রায়হান আজাদ ও সেন্টারের সদস্য এমফিল গবেষক মুহাম্মদ ইউনুস।

 

মন্তব্য করুন