নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রামে বসুধা বিল্ডার্সের দোকান আত্মসাতের অভিযোগ, তদন্তে সিআইডি

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রামে বসুধা রেলওয়ে মার্কেটে জালিয়াতির মাধ্যমে মানুষের দোকানগৃহ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রামের বসুধা বিল্ডার্স এলাকাটি ফলমন্ডি হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে বসুধা বিল্ডার্স কোম্পানি থেকে দোকান ক্রয় করে। তারা দোকান বুঝে পাওয়ার আগেই শাহ আলম, মোহাম্মদ রিপন, মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ, স্বপন দাশ, উজ্জল কান্তি পাল, আবদুর রহমান, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ রফিকসহ আরো ১০/১২ জন সন্ত্রাসী শতাধিক গ্রাহকের প্রায় দোকানগুলো তাদের বলে দখলে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

চলতি বছরের এপ্রিলে চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ৭ গ্রাহকের পক্ষে মামলা করেন তানভীর ফাহাদ (৩২) ও মোহাম্মদ মাহাববুবুর রহমান (৫৫)। আরো কায়েকটি মামলা করেছেন তারা আদালতে। সব মিলিয়ে শতাধিক গ্রাহকের বহু দোকান ও খালি স্পেইস আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। বসুধা রেলওয়ে মেন্স সিটিতে বরাদ্ধকৃত সিঁড়ি ও পার্কিংয়ের জায়গায়ও নকশাবহির্ভূত ৮৪টি দোকানঘর বানিয়ে অন্তত ৩০ কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্যের অভিযোগ শাহ আলম প্রকাশ এসি শাহ আলম ও শাহনেওয়াজ নামের দুই ডেভলপারের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে দখল, বে-দখল, মামলা ও হামলার ঘটনা চট্টগ্রাম শহরের বসুধা বিল্ডার্সের ফলমন্ডি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আবারো এসি শাহাআলম ও শাহনেওয়াজ’রর বিরুদ্ধে মামলা তদন্তে সিআইডি।

পার্কিংয়ের জায়গায় দোকান বানানোতে মার্কেটের সৌন্দর্যহানীর পাশাপাশি পার্কিং না থাকায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে মূল দোকানের মালিকরা। এমনকি ২০১৮ সালে গড়ে ওঠা বসুধা রেলওয়ে মেন্স সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতির নামের সাথে সমবায় সমিতি যোগ করে ২০২১ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নেন তারা। এরপর থেকে কোটি কোটি টাকার অবৈধ দোকান বাণিজ্যের পাশাপাশি প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন দোকান মালিকদের সংগঠন বসুধা রেলওয়ে মেন্স সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

দখলদাররা অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ ও বিক্রি করে অন্যায় করছে বলে জানান বসুধা বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জব্বার খান। এদিকে শীঘ্রই অবৈধভাবে পার্কিংয়ে গড়া ওঠা দোকান ভেঙে পার্কিংয়ে রূপান্তর করবে বলে জানান রেলওয়ে মেন্স স্টোরস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম।

মার্কেটটির সাবেক সভাপতি রনজিত সরকার বলেন, ২০১৮ সালে গঠিত সমিতির নাম চুরি করে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে গোপনে সমবায় থেকে নিবন্ধন করে মার্কেট দখল, দোকান ভাঙচুরসহ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও প্রকাশ্যে মাইকিং করে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করছে। এখন উল্টো আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। দখলবাজদের বিরুদ্ধে আদালতে ৩টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ১টি পিবিআই, ২টি সিআইডি তদন্ত করছে। মার্কেটের লেভেল ৫ -এ ৬০টি দোকানে লুটতরাজ চালিয়ে ভেঙে দিয়েছে। মূল দোকান মালিকদের অনেকে এই সন্ত্রাসী ভূমিদস্যুদের ভয়ে মার্কেটে যাওয়া আসা বন্ধ করে দিয়েছে। ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসসূচি সমিতির পক্ষ থেকে গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।

রেলওয়ে মেন্স স্টোরস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম বলেন, দোকান নির্মাণ এবং বিক্রির জন্য এসি শাহ আলম ও শাহনেওয়াজ যেই চুক্তি করে তা আইনত অবৈধ ও অন্যায়। এটাকে পুঁজি করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পার্কিংয়ের জায়গায় গড়া দোকান ভাঙার যে নির্দেশনা ছিল তা তারা হাইকোর্টে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসে। আমরা প্রকৃত দলিল ও দুষ্টু চক্রের অবস্থান স্পষ্ট করায় আদালত তা খালাস করে দেন। এখন আমরা শীঘ্রই অবৈধ দোকার ভেঙে পার্কিংয়ে রূপান্তর করব। এবং প্রকৃত দোকান মালিকদের ব্যবসা করতে সহযোগিতা করব।

এ ব্যাপারে বসুধা বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জব্বার খান বলেন, কর্মচারী প্রনয় কুমার বিশ্বাসকে হাত করে এসি শাহ আলম ও শাহনেওয়াজ আমার অফিস দখলসহ কোটি কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। এমনকি আমাকে হত্যাসহ গুম করারও হুমকি দেন তারা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, দি রেলওয়ে মেন্স ষ্টোরস লিমিটেডের মালিকানাধীন সম্পত্তিতে “মেসার্স বসুধা বিল্ডার্স লিমিটেড” ডেভেলাপার তথায় বসুধা রেলওয়ে মেন্স সিটি সেন্টার নামক মার্কেট ১৬, স্টেশন রোড, থানা-কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম এর অর্ন্তগত বহুতল ভবনের মধ্যে মার্কেট নির্মাণ করে দোকান গৃহাদী বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন জাতীয় ও দৈনিক পত্রিকাসহ ও টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দিলে তানভীর ফাহাদ ও মোহাম্মদ মাহাববুবুর রহমান বিজ্ঞাপন প্রাপ্ত হইয়া “মেসার্স বসুধা বিল্ডার্স লিমিটেড” হতে দোকান গৃহাদী ক্রয়ের আগ্রহী হন।

তানভীর ফাহাদ ও মোহাম্মদ মাহাববুবুর রহমান সহ তাদের অপর বড় ভাই ও বড় ভগ্নি পঁচিশ হাজার টাকা বুকিং বাবদ এবং ডাউনপেমেন্ট বাবদ ৪ লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা পরিশোধ ক্রমে বসুধা রেলওয়ে মেন্স সিটি সেন্টার মার্কেটের লেভেল- ৫ এর দোকান নং ৪৮৬ এর ১৫৬ বর্গফুট দোকান গৃহ ক্রয় করেন। তদভাবে তানভীর ফাহাদ’র বড় ভাই মিনহাজ্ব মাহামুদ এর নামে লেভেল ৩ দোকান নং ১৫ এর ২৪২ বর্গফুট এর দোকান বুকিং বাবদ ২৫ হাজার টাকা এবং ডাউন পেমেন্ট বাবদ ৮ লক্ষ পঁচাশি হাজার ছয়শত বাষট্রি টাকা ও বড় ভগ্নি আফরিন সুলতানার নামে লেভেল ৫ এর দোকান নং ৪৮৮ এর ১৮৪ বর্গফুট দোকান গৃহের একানব্বই হাজার পঁচান্ন টাকা পরিশোধ করে বসুধা বিল্ডার্স লিমিটেড এর ছাড়পত্রের ৩টি দোকান ক্রয়ের উদ্দেশ্যে দোকানগৃহাদির বরাদ্ধ নেন। ইহাতে তানভীর ২৫,০০০/-বুকিং বাবদ টাকা এবং ডাউন পেমেন্ট ৫ লক্ষ চৌদ্দ হাজার টাকা ক্রয়ের চুক্তিতে আবদ্ধ হন। ৩টি দোকান গৃহের অবশিষ্ট টাকা, ত্রিশ কিস্তিতে পরিশোধ শর্তে সমুদয় কিস্তিসহ একষট্রি লক্ষ একানব্বই হাজার পঞ্চান্ন টাকা পরিশোধ করে বসুধা বিল্ডার্সের ছাড়পত্রের অনুবলে “দি রেলওয়ে মেন্স ষ্টোরস লিমিটেড” এর পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্তৃক তানভীরসহ তার বড় ভাই ও বড় ভগ্নির নামে দীর্ঘ মেয়াদী ভাড়ানামা চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয়েছে।

দি রেলওয়ে মেন্স স্টোরস লিমিটেড এর পক্ষে প্রধান নির্বাহীর নিকট হতে “দীর্ঘ মেয়াদী ভাড়ানামা” চুক্তিপত্র দলিল তানভীরসহ তার ভাই ও ভগ্নি প্রাপ্ত হয়। ১ম ঘটনার তারিখ ও সময়ে তানভীর তাদের খরিদা দোকান গৃহাদীর ডেকোরেশন করার জন্য ঘটনার স্থলে গেলে ১৩৩৭ এবং সান্ত্রাসীরা তানভীর ও তার ভাই এবং ভগ্নির খরিদা দোকান গৃহাদীতে কিংবা মার্কেটে প্রবেশ করতে দেবে না এবং তানভীর ও তার ভাই-ভগ্নির কোন দোকান নাই মর্মে তানভীরকে তিরস্কার করতে থাকে। তানভীর সšন্ত্রাসীদের তীব্র বাধার কারণে খরিদা দোকান গৃহাদিতে প্রবেশ করতে পারেনি।

তানভীর পরবর্তীতে “দি রেলওয়ে মেন্স স্টোরস্ লিমিটেড” পক্ষে-প্রধান নির্বাহীকে ঘটনার বিষয়ে অবগত করলে “দি রেলওয়ে মেন্স স্টোরস্ লিমিটেড” পক্ষে-প্রধান নির্বাহী সন্ত্রাসীদের বাধার কারণ জিজ্ঞেসা করলে সšন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তানভীরকে হুমকি দিয়ে বলে যে, দোকানের নাম নিলে তোদের পরিবারের জীবন থাকবে না। ২য় ঘটনার তারিখ ও সময় স্থানে লেভেল ৫ এর ২টি দোকান গৃহাদী ভেঙ্গে ফেলার বিষয়টি প্রকাশ করে সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তানভীর ও তার ভাই ভগ্নির দীর্ঘ মেয়াদী ভাড়ানামার দোকান গৃহাদী দখল করে রেখেছে। সন্ত্রাসীদের যোগসাজসে উক্ত মার্কেটের সিঁড়ির মুখে কতেক বখাটে সন্ত্রাসী দিয়া মার্কেটের সিঁড়িতে লোহার গেইটে তালা বন্ধ করে মার্কেটে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করেছে। সন্ত্রাসীদের হুমকি দিয়ে বলে তানভীর তাদের দোকান গৃহে বা মার্কেটে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে তানভীরসহ তার পরিবারকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করবে তানভীরকে অপহরন করবে মর্মে হুমকি দিয়ে আসতে থাকে। তানভীরের খরিদা দোকান গৃহাদি সন্ত্রাসীরা জোর পূর্বক দখল করে তথায় ব্যবহার করে আসছে।

তানভীরের দাকান পেতে হলে সন্ত্রাসীদেরকে প্রত্যেক দোকান বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকা করে চাঁদা প্রদান করতে হবে নতুবা দোকান গৃহ বুঝাইয়া দেবে না এবং দোকান গৃহাদিতে প্রবেশ করতে দিবে না প্রকাশ্য জানাইয়া দেয়। সন্ত্রাসীরা হুমকি স্বরূপ বলে যে, “দি রেলওয়ে মেন্স” কিংব বসুধা বিল্ডাস লিঃ হতে কোনরূপ চুক্তিপত্র নিলে কোনরূপ দোকান গৃহাদী শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করতে দিবে না। কেবল শাহ আলম ও শাহনওয়াজের সাথে চুক্তিপত্র সম্পাদন করলে মেন্স সিটি সেন্টারের দোকান গৃহাদী ইত্যাদির দখল প্রদান করবে প্রকাশ্য জানাইয়া দেয়।

কেবল শাহ আলম ও শাহনওয়াজ বেআইনী ভাবে বসুধা রেলওয়ে মেন্স সিটি সেন্টারের তানভীর ও তার ভাই এবং ভগ্নির ৩টি দোকান গৃহাদী জোর পূর্বক দখল করে রাখায় এবং দোকান গৃহাদিতে প্রবেশের পথ গেইটে তালাবদ্ধ করে তানভীরের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন করেছে। অপরদিকে তানভীর তার দোকান গৃহের শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করতে হলে শাহ আলম ও শাহনওয়াজকে প্রত্যেক দোকানে পাঁচ লক্ষ টাকা করে দিতে হবে অন্যথায় তানভীর ও তার ভাই ভগ্নির দোকান গৃহাদিতে প্রবেশ করতে দেবে না এবং তানভীরসহ তার পরিবারকে অপহরণ করে মুক্তিপন আদায় করবে বলে হুমকি প্রদান করে। কীভাবে উদ্ধার হওয়া যায় সে বিষয় নিয়ে প্রশাসনসহ বিভিন্ন মানুষের দুয়ারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তানভীর ও তার পরিবার।

কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই। এর পরও যখন যে দল ক্ষমতায় আসে সে দলের প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় গড়ে তুলেছেন অপরাধ সিন্ডিকেট। চট্টগ্রামের বসুধা রেলওয়ে মার্কেট নিয়ন্ত্রণে রেখে আয় করেছেন কোটি কোটি টাকা। তারা হলেন এসি শাহআলম ও শাহনওয়াজ। বসুধা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তারা অবৈধভাবে দখলে রেখেছে।

জানা যায়, এসি শাহ আলম ও শাহনওয়াজ নিজেদেরকে ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেন। বসুধা মার্কেটের নিয়ন্ত্রক থাকায় তারা সব অপরাধ নিয়ন্ত্রিত হতো এ স্থান থেকেই। বেশ কয়েক জন অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরেই তারা এ মার্কেট নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।

বরাদ্দকৃত দোকান ছাড়াও আরো দোকান নির্মাণ করে। এসব মার্কেটে নকশার বাইরে গিয়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলেন অনেক দোকান ও পার্কিং। সামনের খোলা জায়গা, লিফটের জায়গা, ফ্লোর স্পেস, বারান্দা, বেজমেন্ট, ক্রেতাদের হাঁটাচলার জন্য রাখা খোলা জায়গা দখল করে এসব দোকান বানানো হয়। প্রতিটি দোকান থেকে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেন তারা।

কেবল দোকান বিক্রিই নয়, বিভিন্ন সময় এসব দোকান মালিকদের কাছ থেকে নানা ছুতোয় আদায় করেন লাখ লাখ টাকা। এদিকে অবাক হলেও সত্য এই মার্কেটে আলাদা আলাদা কমিটি থাকলেও এসি শাহ আলম নিজেকে কমিটির সর্বেসর্বা দাবী করেন।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, যাদের কোন মালিকানা নেই তারাই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চট্টগ্রাম বসুধা বিল্ডার্স মার্কেট দখল করে রেখেছে। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মার্কেট নির্মাণ করে দোকান বরাদ্দের নামে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্র। অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ করে বিক্রি করে এ বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যবসায়ী এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে জানান, লাখ লাখ টাকা চুক্তিতে দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রভাবশালী এই চক্র হতে প্রদানকৃত টাকা ফেরত পাওয়া নিয়েও তারা শঙ্কিত।

বসুধা রেলওয়ে মেন্স সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি রনজিত সরকার বলেন, ‘২০০৯ সালে দোকান বুঝিয়ে দেয়ার কথা বললেও এখন এসি শাহআলম ও শাহনওয়াজ আমাদের বৈধ দোকানগুলো দখল করে ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করছে। আমরা দোকান বুঝে নেওয়ার জন্য গেলে তারা হত্যার হুমকী দেয়।

রনজিত সরকার আরো বলেন, ২০০৯ সালের পর থেকে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে সে ক্ষতি আমরা পুষবো কিভাবে। ২০০৮ সালে দোকানের জন্য যে টাকা দিয়েছি তা ব্যাংক থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে দিয়েছি, অথচ আমরা এখনো দোকানে উঠতে পারছি না।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৬ সালের রেলওয়ে কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্সের ধারাবাহিকতায় রেলওয়ে ভূমিকে অবৈধ দখলমুক্ত রাখা, সরকার তথা রেলওয়েকে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, বকেয়া রাজস্ব আদায়, পরিকল্পিত বাণিজ্যিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রেলওয়ে প্রকৌশল কোড ১৯৬১ নম্বর মূলে একটি অস্থায়ী লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে মাত্র।

প্রতারক ভুমি দস্যু, জাল জালিয়াতিকারী ও প্রতারণার মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে এবং মানুষের সহায় সম্পত্তি আত্মসাৎ করা এসি শাহআলম ও শাহনওয়াজ’র একমাত্র পেশা ও নেশা। তারা দেশের প্রচলিত আইনের নিয়ম নীতি তোয়াক্কা করে না।

মন্তব্য করুন