নিউজগার্ডেন ডেস্ক: যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ আজ ঋণগ্রস্ত। বাংলাদেশে প্রায় প্রত্যেকটি পরিবার সরকার কর্তৃক নির্যাতনের শিকার। আজ দেশের যে শিশু জন্মগ্রহণ করেছে সেই ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা ঋণে আবদ্ধ। সরকার শুধু ক্ষমতায় ঠিকে থাকার জন্য বিভিন্ন অপরাধী ব্যক্তিকে আজ সাংসদ বানিয়েছেন। তারা শুধু ব্যক্তি নয় আজ রাষ্ট্র পর্যন্ত দুর্নীতি করেছে। সরকার ঠিকে থাকার জন্য দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। যে বিচারক সঠিক বিচার করছে সরকার তাকে নির্বাসনে পাঠাচ্ছে। শিশু, নারী ও সাংবাদিকদের গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের শাস্তি দেওয়া হয়। আর অন্য দিকে সাগর রুনির মতো নামকরা সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, কিন্তু তাদের মামলায় চার্জশিট পর্যন্ত দেওয়া হয় না। একশত বারেরও বেশি সময় দেওয়া হয়েছে। দেশের ভবিষ্যত রক্ষা করার জন্য এই অবস্থা থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্ত করতে হবে।
তিনি আজ শনিবার (৮ জুন) বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন সংলগ্ন মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশনায় আন্দোলন সংগ্রামে কারাবরণকারী ও হামলা-মামলার শিকার প্রায় আড়াই শতাধিক যুবদল নেতাকর্মীকে সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি’র সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাহেদ’র সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন বাংলাদেশে সবচেয়ে নির্যাতিত পরিবার হচ্ছে জিয়া পরিবার। তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা প্রদান থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। স্বাধীনতার এত বছর পরও এই দেশের মানুষ মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন করতে হচ্ছে। যে বাংলাদেশে মানুষ বিচার পাই না, ভোট দিতে পারে না সেইটা আমাদের কাঙ্খিত দেশ হতে পারে না।
সভাপতির বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, সকল নির্যাতন-নিপীড়ন করার পরও আজ পর্যন্ত একজন বিএনপি নেতা কর্মী দল ত্যাগ করেনি। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করছে না। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে এই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনা।
সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাহেদ বলেন, সরকার উন্নয়ন নামে লুটপাট করছে। সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বেনজির ও আজিজের মতো বিভিন্ন অপরাধী সৃষ্টি করেছে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আবদুল্লাহ, সহ সাধারণ সম্পাদক(চট্টগ্রাম বিভাগ) ও নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনজুরুল আজিম সুমন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মঈনুদ্দিন রুবেল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক(চট্টগ্রাম বিভাগ), কক্সবাজার জেলা যুবদলের সভাপতি জেলা এডভোকেট সৈয়দ আহমদ উজ্জ্বল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য কামরুজ্জামান নান্নু, সাইফুর রহমান চৌধুরী শপথ, আমিনুল ইসলাম তৌহিদ, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজগর, উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ সাইফুল আলম ও সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন।
এতে উপস্থিত ছিলেন নগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, সহ সভাপতি নুর আহমেদ গুড্ডু, এস এম শাহ আলম রব, শাহেদ আকবর, এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. মুছা, মিয়া মো. হারুন, হায়দার আলী চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, অরূপ বড়–য়া, মোহাম্মদ আলী সাকি, সি. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, মো. এরশাদ হোসেন, সেলিম উদ্দীন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, জিয়াউল হুদা জিয়া, হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন, রাজন খাঁন, ওমর ফারুক, সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, ওসমান গনি, শাহজালাল পলাশ, আহাদ আলী সায়েম, জাফর আহমেদ খোকন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নুর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মুহাম্মাদ সাগির, মো. জসিম উদ্দিন সাগর, গাজি ফারুক, মহিউদ্দিন মুকুল, এস এম বখতেয়ার, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, মো. নুরুল আমিন, মো. নওশাদ, আসাদুজ্জামান রুবেল, সহ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, মনোয়ার হোসেন মানিক, কামরুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, মোঃ শাহেদুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন আনু, আরিফ হোসেন, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, হাফেজ কামাল উদ্দিন, গুলজার হোসেন মিন্টু, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, আশরাফ উদ্দিন খালেক, হোসেন উজ জামান, নুর জাহেদ বাবলু, ইব্রাহিম খাঁন, সাইদুল ইসলাম, মিফতাহ উদ্দীন সিকদার টিটুসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।