নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে বাজেটের আয়তন বড় করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তৃণমূল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান দীপক পালিত। রবিবার (৯ জুন) পাথরঘাটার নিজ বাসভবনে তিনি এ কথা বলেন।
দীপক পালিত বলেন, আমরা রাজনীতি করি বলেই জাতীয় বাজেট পেশ হওয়ার পর তার বিরোধিতা করতে হবে- এই নীতিতে আমি বিশ্বাসী নই। আমি বিশ্বাস করি, কোনো সরকারই দেশ ও জনগণের স্বার্থের পরিপন্থি কোনো বাজেট প্রণয়ন করেন না। দেখতে হবে প্রণীত বাজেট বাস্তবায়নে সরকার দক্ষতার পরিচয় দিতে পারে কি না, যোগ করেন দীপক পালিত।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আগামী অর্থবছরের জন্য (২০২৪-২৫ অর্থবছর) ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন ৬ জুন ২০২৪। বাজেটটি বর্তমান সময়ের প্রতিফলন। একটি পরিমিত বাজেট এবং এখানে প্রগতিশীলতার দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। এই বাজেটে কৃষি সহায়ক অনেক আমদানি পণ্যের শুল্ক কমানোর কথা বলা হয়েছে।
দেশে বর্তমানে দুটি মূল সমস্যা বিদ্যমান। একটি হলো, দেশের রিজার্ভ সংকট কাটছে না। আরেকটি হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি বাড়তি অবস্থায় স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি ও বাস্তবতাকে স্বীকার করেই বাজেটটি করা হয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্ষয় ঠেকাতে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। আমদানি নিয়ন্ত্রণের ফলে অনেক উৎপাদন উপকরণ ব্যয়ও বেড়ে গেল। এ ছাড়া মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কিছুটা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে উৎপাদনও ব্যাহত হয়েছে। সব মিলিয়ে বাজেটে উৎপাদন উপকরণ ও যন্ত্রপাতি অনেক ক্ষেত্রে কিন্তু আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে বা কমানোর কথা বলা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটকে যৌক্তিক, বাস্তবসম্মত ও সংকট উত্তরণে কৌশলগত কল্যাণময় বলছেন দীপক পালিত। টেকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা শীর্ষক এ বাজেট প্রকৃত পক্ষেই স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রায় ব্যতিক্রমি বাজেট বলে মনে করছেন তিনি।
তৃণমূল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান দীপক পালিত বলেন, আমাদের অর্থনীতি বর্তমানে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। যেমন: মুদ্রাস্ফীতি, রিজার্ভ কমে যাওয়া, টাকা মানের অবমূল্যায়ন প্রভৃতি। এই পটভূমিতে সরকার এবার কিছুটা আঁটসাঁট বাজেট দিয়েছে। এবার সরকার সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে মনোযোগ দিয়েছে। অগ্রাধিকার পাওয়ার মত খাতগুলোতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এটা দেশের জন্য ভালো হবে। আর মূল্যস্ফীতি কমানের টার্গেট করা হয়েছে। কিন্তু কিভাবে কমানো হবে, সে বিষয়ে সঠিক পথনির্দেশনার অভাব আছে।
তৃণমূল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান দীপক পালিত আরো বলেন, অস্থীতিশীল নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার ব্যবস্থার মধ্যে এবারের বাজেট নিয়ে সাধারণ মানুষ হিসেবে আমিও উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলাম। কারণ বাজেটের নীতি নির্ধারণী বিষয়ের উপর বাজারের পণ্য মূল্যের বিষয়টি সরাসরি সম্পৃক্ত। তবে বাজেট নিয়ে মোটামুটি স্বস্তিজনক মনে করছি। কারণ বাজেটে এবার সুনির্দিষ্টভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর বিষয়টি এসেছে। তবে শুধু কমানোর ইঙ্গিত দিলেই চলবে না, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণেও সরকার কার্যকরি উদ্যোগ দিবেন বলে প্রত্যাশা রাখি।