চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বিদ্রোহ, সংঘর্ষ-গোলাগুলি

মোঃ ছরওয়ার কামাল: চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদিরা বিদ্রোহ শুরু করলে কারা কর্তৃপক্ষ পাগলা ঘন্টার সাইরেন্ট এর শব্দে বিদ্রোহের ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের সব জাগায়। কারাগারের ফটক ভেঙে পালানোর চেষ্টা করলে কারারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন তারা সংঘর্ষে সময় কয়েকজন কয়েদি আহত হন ও একজন কারারক্ষী গুরুতর আহত হলে তাকে সেনাবাহিনী গাড়িতে করে চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ সময় গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ওই এলাকায়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, বাইরে থেকেও একটি পক্ষ কারাগারের প্রধান ফটক ভাঙার চেষ্টা করছে। কারারক্ষীরা তাদের প্রতিহত করতে গুলি চালিয়েছে। সিনিয়র জেল সুপার মঞ্জুর হোসেন জানান, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ‘কে’ আদ্যক্ষরের এক সিনিয়র কারারক্ষী জানান, দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ কারাগারের ভেতরের সাঙ্গু ভবনের দেয়াল কুঁচিয়ে ইট বের করে কয়েদিরা। তারপর ইট গুলো গুড়ি করে কারারক্ষীদের দিকে ছুঁড়তে থাকে ওই ভবনের ৯০০ কয়েদি। একই সময়ে সব ভবনে থাকা কয়েদিরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে পালিয়ে যেতে চাইলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারা কর্তৃপক্ষ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চান। তাৎক্ষণিক একদল সেনাবাহিনীর মাত্র ৫ জন সদস্য কারাগারে প্রবেশ করে চেষ্টা করেন পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনতে।

তিনি আরো জানান, কারারক্ষীরা এ সময় ৫/৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েন। পরে সব কয়েদিদের মারধর করে স্ব স্ব ভবনের রুমে প্রবেশ করাতে সক্ষম হন তারা। তবে সাঙ্গু ভবনের দেয়াল ও অনেক ভবনের রুমের লোহার গেইট ভাঙতে চেষ্টা করেন কয়েদিরা। এতে নড়েচড়ে গেছে অনেক লোহার গেইট। সেনা ও জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষের ৩০ মিনিটের চেষ্টায় পরে শান্ত হয় জেলা কারাগারের পরিবেশ।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মঞ্জুর হোসেন বলেন, আসামিরা পালাতে বিদ্রোহ করছে, কেউ পালাতে পারেনি, বাহির থেকেও কেউ ভেতরে প্রবেশ করেনি। সেনাবাহিনীর টিম আসায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই কথা জানালেন সেনাবাহিনীর মুখপাত্রও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারারক্ষীদের পাশাপাশি ছুটে আসে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা। কারাগারের অভ্যন্তরে আর বাইরে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

মন্তব্য করুন